অপহরণের পর শিশুকে নির্যাতন করে বাধ্য করা হয় ভিক্ষাবৃত্তিতে

পাবনা
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

পাবনা থেকে অপহরণের সাড়ে ৬ মাস পরে এক শিশুকে খুলনা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

শিশুটিকে খুলনার রূপসা ফেরিঘাট এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখে পুলিশ। পরে তাকে উদ্ধার করে এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করে।

আজ মঙ্গলবার পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, পাবনা সদর উপজেলার চক ছাতিয়ানী এলাকার আমিনুল ইসলামের ৬ বছর বয়সী ছেলেকে গত বছরের ২ অক্টোবর অপহরণ করা হয়।

সন্তানের খোঁজ না পেয়ে ৭ অক্টোবর পাবনা সদর থানায় জিডি করেন শিশুটির মা।

মামলায় বলা হয়, একই এলাকার রফিকুল ইসলাম বিপ্লব ফোন করে সোয়াইবকে অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছিল। 

জিডির পর ফোন নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশ তার অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করে পুলিশ। 

অবশেষে ঘটনার ছয় মাস পর গত ১৯ এপ্রিল খুলনার রূপসা ফেরিঘাট এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় এবং অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বিপ্লবকেও আটক করা হয়।

এরপর জানা যায় শিশুটির ওপর নির্যাতনের তথ্য। 

ওসি আব্দুস সালাম জানান, তারা শিশুটি এবং আটক বিপ্লবের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন যে, অপহরণের পর শিশুটিকে নির্যাতন করে প্রতিবন্ধী বানিয়ে তাকে দিয়ে ভিক্ষা করাতেন অভিযুক্ত বিপ্লব।

শিশুটির বক্তব্যের বরাতে পুলিশ জানায়, তাকে একটি কক্ষে বন্দি করে রাখা হতো, কিছু খেতে দেওয়া হতো না। তার শরীরে আঘাত করে চামড়া তুলে ফেলা হয়েছিল, সারা শরীরে আগুনের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল, আঙুলের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। দিনের বেলায় বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে তাকে দিয়ে ভিক্ষা করানো হতো।

উদ্ধারের পর শিশুটিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দিনের পর দিন না খাইয়ে রাখা ও অব্যাহত শারীরিক নির্যাতনের কারণে শিশুটির অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে তার হাতের আঙুলে অস্ত্রোপাচার করা হয়েছে। শিশুটিকে সুস্থ করতে বেশ কিছু দিন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Water lily tug-of-war continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June..Despite several exchanges of letters and multiple meetings between NCP and the chief election commissioner, other

1h ago