হত্যাচেষ্টা মামলায় শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন। ছবি: শাওনের ফেসবুক থেকে নেওয়া

'সৎ মা' নিশি ইসলামের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার এক আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এ আদেশ দেন। আজ বুধবার আদালত সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

একই মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) নাজমুলের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

এর আগে, গত ১৩ মার্চ নিজেকে শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলীর স্ত্রী হিসেবে দাবি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন নিশি ইসলাম। সেদিন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত ১২ আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন এবং ২২ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন। 

আসামিরা হলেন, ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, মেহের আফরোজ শাওন, তার ভাই মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, সেঁজুতি, সাব্বির, সাবেক এডিসি নাজমুল, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন।

সোমবার পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও উপ-পরিদর্শক শাহ আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন এবং আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বাকি ১০ আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার এজাহারে নিশি ইসলাম জানান, ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী প্রতারণা করে এবং পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন রেখে তাকে বিয়ে করেন। পরে আলীর পূর্বের স্ত্রী ও সন্তানদের অস্তিত্ব টের পান তিনি। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি শাওনের বোন সেঁজুতি ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ের সম্পর্ক গোপন রাখার হুমকি দেন। এরপর ৪ মার্চ আসামি মো. আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। তখন তার আগের স্ত্রীকে দেখে আসামির প্রতারণার বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পান। এসময় অন্যান্য আসামিরা তাকে ঘর থেকে বের করে দেন। 

পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে সই নেওয়ার চেষ্টা করেন। সই দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় শাওন তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যান। এরপর ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবি অফিসে ডেকে নেন ডিবি পরিদর্শক শাহ জালাল। সেখানেও শাওনসহ অন্যান্য আসামিরা তাকে মারধর করেন। এসময় ডিবি প্রধান (সাবেক) হারুন বাড্ডা থানার ওসিকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন। পরে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও অভিযোগ করেন নিশি ইসলাম।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

6h ago