সাগর-রুনি হত্যা: ১১৯ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন, আসামি তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পিবিআই

সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার আসামি তানভীর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

রুনির বন্ধু তানভীর ২০১২ সালে ১০ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং পরে জামিনে মুক্তি পান।

পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হকের উপস্থিতিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা আগামী ৮ জুলাই এই আবেদনের জন্য শুনানির দিন ধার্য করেন।

একইসঙ্গে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমাদানের সময়সীমা ৮ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আদালত। এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমাদানের সময়সীমা ১১৯তম বার বাড়ানো হলো।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার আবেদনে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের একদিন আগে ২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া ৫টার দিকে পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের সামনে তানভীরের সঙ্গে দেখা করেন রুনি এবং তানভীরের গাড়িতে করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যান। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তানভীর রুনিকে তার বাসায় নামিয়ে দেন।

সেদিন রাতেই পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন এই দম্পতি। এ ঘটনার পর বিষয়টি তানভীরকে জানানো হলেও, তাদের জানাজায় অংশ নেননি তিনি। তাছাড়া এক দিনের জন্যও তিনি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাই এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে পিবিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকারীরা এ পর্যন্ত ৭০ জনেরও বেশি লোকের সঙ্গে কথা বলেছেন।

ইতোমধ্যে বরখাস্ত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর রহমান, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক নৌবাহিনী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল এবং আসামি হুমায়ুন কবির ও পলাশ রুদ্র পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পিবিআই।

বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন।

ঘটনার সময় এই দম্পতির পাঁচ বছরের একমাত্র ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ বাসাতেই ছিল।

পরদিন রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

16 killed as police open fire on Gen Z protest in Nepal

Police used live ammunition, tear gas, and water cannons against protesters demonstrating against social media restrictions and corruption

4h ago