চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর গুলশানে সাবেক নারী সংসদ সদস্যের পরিবারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১০ থেকে ১২ জনকে।
গতকাল শনিবার গুলশান থানায় মামলাটি করেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর। থানার ডিউটি অফিসার আঞ্জুমান আরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সাবেক ওই এমপির বাসা থেকেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না (২৪), সংগঠনটির সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক রিয়াদ (২৫), আন্দোলনের কর্মী সাকাদাউন সিয়াম (২২), সাদাব (২১) এবং ১৬ বছরের এক কিশোর।
ডিউটি অফিসার জানান, আসামিদের আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই কিশোর বাদে বাকি চার আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গত ১৭ জুলাই আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের বাসায় আসেন এবং ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই সময় শাম্মী আহমেদ বাসায় না থাকায় তার স্বামীর কাছে এই টাকা দাবি করা হয়।
সিদ্দিক আবু জাফর এজাহারে আরও বলেন, 'আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের লোক বলে আখ্যা দেয় এবং টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে আমি আবদুর রাজ্জাক রিয়াদকে ১০ লাখ টাকা দিই।'
জাফর আরও অভিযোগ করেন, ১৯ জুলাই তারা আবার এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে। তবে সেদিন তিনি পুলিশকে জানালে তারা চলে যায়।
বাদী বলেন, 'গত ২৬ জুলাই রিয়াদ ও অন্যরা আবার আমার খোঁজে আসে। আমি বাসায় ছিলাম না, কিন্তু নিরাপত্তাকর্মী আমাকে বিষয়টি জানান। তারা বাকি ৪০ লাখ টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি আবার পুলিশকে ফোন দিই। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে কাজী গৌরব নামের আরেক আসামি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।'
এদিকে এ ঘটনার পর গত রাতে এক বিবৃতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানিয়েছে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইব্রাহিম মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাবকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
Comments