রাষ্ট্রপতি নয়, নিম্ন আদালতে বিচারকদের ওপর কর্তৃত্ব থাকবে সুপ্রিম কোর্টের: হাইকোর্ট

high court
হাইকোর্ট। স্টার ফাইল ফটো

রাষ্ট্রপতি নয়, এখন থেকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষমতা থাকবে সুপ্রিম কোর্টের হাতে।

আজ মঙ্গলবার হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে এ কথা জানিয়েছে।

এর মাধ্যমে ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের মূল ধারা পুনঃস্থাপন করেছে আদালত, যেখানে নিম্ন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি ও ছুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল সুপ্রিম কোর্টের।

সরকারকে তিন মাসের মধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রাষ্ট্রপতিকে নিম্ন আদালতের ওপর কর্তৃত্ব দেওয়া সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এই রায় দেন।

একই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল দেন।

১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচারবিভাগীয় দায়িত্বপালনে রত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরীসহ) ও শৃংখলাবিধান রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সুপ্রীম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হইবে।'

রুলে বিবাদীদের (আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল) কাছে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন, কেন সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলাভঙ্গ সংক্রান্ত) বিধিমালা, ২০১৭ সংবিধানবিরোধী ঘোষণা করা হবে না এবং কেন সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠনের নির্দেশ দেওয়া হবে না।

সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবীর দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে রুলটি দেওয়া হয়। এই আইনজীবীরা হলেন—মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মো. জহিরুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, শাইখ মাহদি, আব্দুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল ও জায়েদ বিন আমজাদ।

Comments

The Daily Star  | English

Farewell

Nation grieves as Khaleda Zia departs, leaving a legacy of unbreakable spirit

8h ago