আসামি গ্রেপ্তারে তদন্ত সংস্থার ভূমিকায় ট্রাইব্যুনালের অসন্তোষ

আসামি গ্রেপ্তারে তদন্ত সংস্থার ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার গতবছর জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রামপুরায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার অভিযোগপত্রের শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল জানতে চায়, অন্য আসামিরা দেশে আছেন কি না। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আসামিরা দেশে আছেন নাকি বিদেশে—এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, 'আসামির সন্ধান দিলেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না—এমন অভিযোগ আছে। আপনাদের গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবুও আসামি খুব কম সংখ্যক গ্রেপ্তার হয়েছে।'
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, 'এসব কথা ওপেন কোর্টে না বলাই ভালো।' জবাবে বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ প্রশ্ন করেন, 'কেন বলব না? আপনাদের তো গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।'
তাজুল ইসলাম এ সময় জানান, 'অভ্যুত্থানের পরপরই অনেক আসামি পালিয়ে গেছে। আমাদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হলেও হাতে কোনো অস্ত্র নেই।'
আজকের শুনানিতে প্রসিকিউশন চার্জ শুনানি শেষ করে অভিযোগ গঠনের আবেদন করে। এরপর রাষ্ট্রনিযুক্ত ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ডিসচার্জ আবেদন করেন।
রামপুরা মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র একজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্য আসামিদের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য না পাওয়ায় ট্রাইব্যুনাল অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
আদালত আগামী মঙ্গলবার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার দিন ধার্য করেছে।
Comments