অপহরণের পর শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, চিৎকার করায় হত্যা: পুলিশ
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে হত্যার ঘটনায় তিন প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মুক্তার আশরাফ গ্রেপ্তারের বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'মঙ্গলবার রাতে একজন এবং আজ বুধবার দুপুরে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব ও পিবিআইয়ের সহযোগিতায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।'
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—বন্দরের দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মানিক চাঁন মিয়ার ছেলে ফয়সাল ওরফে বাদশা (২৯), প্রয়াত আহসান মিয়ার ছেলে ইসমাঈল (৪০) ও জামাল মিয়ার ছেলে ইমন (২৫)।
তাদের মধ্যে ফয়সাল আজ দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইয়াসির আরাফাতের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আসামির জবানবন্দি ও তদন্তে পাওয়া তথ্যের বরাতে ওসি গোলাম মুক্তার আশরাফ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। তাকে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় আসামিরা। শিশুটি তখন চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।'
'গ্রেপ্তার ৩ জনই মাদকাসক্ত। তারা সরাসরি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।'
ফয়সালকে গ্রেপ্তারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বুধবার সকালে তার বাড়িতে নিহতের স্বজন ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ভাঙচুর চালান বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
গত রোববার বিকেল ৪টার দিকে বাসার সামনের রাস্তা থেকে নিখোঁজ হয় ১৩ বছর বয়সী শিশুটি। পরদিন সকালে প্রতিবেশীর বাসার সামনে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই রাতে বন্দর থানায় অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের স্বজন।


Comments