নৌকার সমর্থকরা কারও ওপর হামলা করেননি, দাবি এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দারের

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। ছবি: স্টার

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগারওয়ালার উপর হামলা ও নির্বাচনী প্রচারণায় বাধার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার।

আজ সোমবার দুপুর ১২টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার বসুভান্ডারদহ গ্রামে যুবলীগের একটি মিছিলে হামলা চালান স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগারওয়ালার দেহরক্ষী ও সমর্থকরা।

স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নৌকার প্রার্থী বলেন, ঘটনার সময় সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এসআই হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য উপস্থিত হন। দিলীপ আগারওয়ালা নিজে আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করার জন্য পুলিশ সদস্যদেরকে নির্দেশ দেন। পুলিশের হামলায় যুবলীগের মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং অনেকে আহত হন। সেখান থেকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিকসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে একজনকে বাদী সাজিয়ে মামলা করা হয়। গতকাল রোববার আমার সমর্থকদের পক্ষ থেকেও ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে পাল্টা মামলা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হারুন-অর-রশিদকে অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মূল হোতা আবু তাহের বিশ্বাসকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগারওয়ালার দাবি, যে ঘটনা ঘটেছে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। কীভাবে তারা হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন? তারা নিজের পক্ষে সাফাই গাইছেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, প্রচারণায় বাধা দেওয়া এক ধরনের অপরাধ। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। আদালত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।

গত শনিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বসুভাণ্ডারদহ নির্বাচনী প্রচারণার সময় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও তার কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে নৌকার প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিনিধি আব্দুল মালেক বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হাসানুজ্জামান মানিককে প্রধান আসামী করে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ ১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ নৌকা প্রার্থীর পাঁচ সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে গতকাল রোববার ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে পাল্টা মামলা করেন নৌকার সমর্থক হাসেম আলী।

 

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

6h ago