আশুলিয়ার ৬ কারাবন্দি শ্রমিক নেতার মুক্তি দাবি

শ্রমিক
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টুসহ কারাবন্দি ৬ শ্রমিক নেতার মুক্তির দাবি জানিয়েছে শ্রমিকরা।

মিন্টু ছাড়া অপর কারাবন্দিরা হলেন-গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, আশুলিয়া থানা রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আ. মজিদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সহ-সভাপতি আলম পারভেজ ও মো. নান্নু মিয়া।

তাদের মুক্তির দাবিতে আজ শুক্রবার বিকেলে আশুলিয়ার জামগড়ায় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটি।

এ সময় বক্তারা বলেন, আশুলিয়াসহ সারা দেশে রিকশা শ্রমিকদের হয়রানি ও রিকশা আটকে ঘুষ আদায়সহ বিভিন্নভাবে রিকশা শ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে আশুলিয়া থানা রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। পরে তারাই উল্টো শ্রমিকদের নামে মিথ্যা মামলা করে।

ওই মামলায় ৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তারা।
  
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাভার ইউনিট কমিটির সভাপতি এমদাদুল ইসলাম এমদাদ বলেন, 'শ্রমিক নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি না দেওয়া হলে সাভার আশুলিয়া তৃণমূলের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও শ্রমিকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।'

মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাভার আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সহ-সভাপতি সাইফুল আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান ইসলাম, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন দেওয়ানসহ রিকশা শ্রমিকরা।

গত ২৭ জুন হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে 'চাঁদাবাজি'র অভিযোগ তুলে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায় নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শতাধিক অটোরিকশাচালক। এর পরদিন বিক্ষোভ থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে ১০ জন শ্রমিক নেতাসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

পরে এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হলে গত ১৮ আগস্ট ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন ৬ শ্রমিকনেতা। আদালত তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Comments

The Daily Star  | English
chocolate trend in Bangladesh

Mimi, nostalgia and new bites

Local, global brands offer treats for all budgets, with young people driving the demand

13h ago