৭০ ঘণ্টা সাঁতরে বিশ্বরেকর্ডের লক্ষ্য ৭০ বছর বয়সী ক্ষিতিন্দ্র চন্দ্রের

ক্ষিতিন্দ্র চন্দ্র।

বেশি বয়সে দীর্ঘতম সময় সাঁতার কেটে বিশ্বরেকর্ড গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সিলেটের সুরমা নদী থেকে সাঁতার কাটতে শুরু করেছেন দেশের অন্যতম ম্যারাথন মুক্তজল সাঁতারু ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতিন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় সিলেটের ক্বীন ব্রিজের পার্শ্ববর্তী ঐতিহ্যবাহী চাঁদনীঘাট থেকে তিনি সাতার শুরু করেন।

সুরমা নদী থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ফেরিঘাট পর্যন্ত ২৮১ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ সাঁতার কাটতে তার সময় লাগবে প্রায় ৭০ ঘণ্টা।

তার সাঁতারের গতিপথ সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ। এ পথে আছে সুরমা নদীর ১৪৪ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার, ধনু নদীর ৮৪ দশমিক ৩১ কিলোমিটার, ঘোড়াউত্রা নদীর ৩৪ দশমিক ২৭ কিলোমিটার ও মেঘনা নদীর ১৮ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার।

দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতিন্দ্র চন্দ্র বৈশ্যকে ওয়ার্ল্ড ওপেন ওয়াটার ‍সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন ২০১৯ সালে বিশ্বের ৫০ অ্যাডভেঞ্চারাস মুক্ত জলাশয়ের সাঁতারু হিসেবে উল্লেখ করে।

বিশ্বরেকর্ড গড়া প্রসঙ্গে ক্ষিতিন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই পথ সম্পন্ন করতে পারলে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক সাঁতারু হিসেবে দীর্ঘতম পথ সাঁতারের বিশ্বরেকর্ড হবে আমার, যা দেশের জন্যও সম্মান বয়ে আনবে।'

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা শাখার সার্বিক সহযোগিতায় ক্ষিতিন্দ্র চন্দ্র বৈশ্যের এ রেকর্ড অর্জনে সার্বিক সহযোগিতা করছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সিভিল সার্জন কার্যালয়।

ক্ষিতিন্দ্র চন্দ্র।

তার যাত্রাপথে চিকিৎসক ও অন্যান্য সহযোগীদের একটি দল নৌকা নিয়ে এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করবেন।

সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাঁতার শুরুর আগে তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। জীবনরক্ষাকারী সব সরঞ্জাম নিয়ে চিকিৎসকদের একটি দল সার্বক্ষণিকভাবে তার সঙ্গে থাকছেন।'

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সফলভাবে রেকর্ড অর্জিত হলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হবে।'

ক্ষিতিন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য ১৯৫২ সালের ২৩ মে নেত্রকোণার ‍মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষে (বেবিচক) দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন তিনি।

২০১১ সালে উপপরিচালক হিসেবে অবসর নেওয়ার পর থেকে বেবিচকের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।

১৯৭৪ সাল থেকে মুক্তজলাশয়ে ম্যারাথন সাঁতারু হিসেবে সাঁতার শুরু করেন ক্ষিতিন্দ্র। সাঁতার কেটে ৪টি জাতীয় পদক ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পদক অর্জন করেছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

5h ago