বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের সাম্প্রতিক ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক: চীনা রাষ্ট্রদূত

চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। সংগৃহীত ফাইল ছবি

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলমের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, তারা রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের উপায়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক ঘটনা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছে।

গত সপ্তাহের শুরুর দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমার-সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আসিয়ান কূটনীতিক ও ঢাকায় অবস্থানরত অন্যান্য বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে পৃথক ব্রিফিং করে এবং মিয়ানমারের বারবার সীমান্ত আইন লঙ্ঘন বন্ধে তাদের হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানায়।

গত ২০ সেপ্টেম্বর ওই বৈঠকে ঢাকায় চীনা দূতাবাসের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

খুরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা গত সপ্তাহে বিদেশি কূটনীতিকদের সীমান্ত পরিস্থিতি জানিয়েছি। যেহেতু চীনা দূতাবাসের কেউ সেখানে ছিল না, তাই আমরা আজ তাদের বিষয়টি জানিয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের সঙ্গে জড়িত ত্রিপাক্ষিক প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে চীনের নতুন উদ্যোগের অনুরোধ করেছি। ২০১৭ সালে সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের পর থেকে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের এখনো প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি।'

তিনি বলেন, 'লি জিমিং আশ্বাস দিয়েছেন- চীন মিয়ানমারের সীমান্ত বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি নেপিডোর কাছে উত্থাপন করবে। আমাদের লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা। এখানকার পরিস্থিতি ভালো নয়, তাই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার।'

খুরশেদ আলম বলেন, 'চীন রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরার পর আশ্রয় দিতে কিছু বাড়ি-ঘর নির্মাণ করেছে। তাই রোহিঙ্গারা সেখানে গেলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে মিয়ানমার।'

রাখাইন রাজ্যসহ মিয়ানমারে সংঘাত চলাকালে প্রত্যাবাসন সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, এটা ঠিক। কিন্তু রোহিঙ্গাদের যে জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে কোনো সংঘাত নেই। চীন আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে, তারা এই বার্তাটি মিয়ানমারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবে

Comments

The Daily Star  | English
A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

Projections by the United Nations Food and Agriculture Organization (FAO) indicate that tea cultivation areas could shrink by 2050.

7h ago