বাসের ভেতর নিবন্ধন নম্বর প্রদর্শনের দাবি রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের

প্রতীকী ছবি। স্টার ফাইল ফটো

যাত্রী নিরাপত্তায় বাসের ভেতর নিবন্ধন নম্বর প্রদর্শনের দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

আজ সোমবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ ও নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে রাতের ফাঁকা বাসে চালক ও সহকারীরা নারী যাত্রীদের ধর্ষণ ও হত্যা করে মরদেহ রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে ঝগড়া বাধিয়ে যাত্রীদের বাস থেকে ফেলে হত্যার ঘটনাও মাঝে-মধ্যেই ঘটছে। এ ছাড়া, প্রায় প্রতিদিনই যাত্রীবাহী বাসের চালক-শ্রমিকরা নানা প্রকার অপরাধে জড়াচ্ছে।

তারা বলেন, যাত্রীবাহী বাসের চালক-শ্রমিকরা মনে করে, একই কোম্পানির অনেক বাস থাকায় কোন বাসে তারা অপরাধ করছে এটা ভুক্তভোগী নির্দিষ্ট করে বলতে পারবে না। কারণ ভুক্তভোগী বা অন্য যাত্রীরা বাসের নম্বর জানে না। বাস্তবতা হলো, লোকাল বা সাধারণ মানের বাসে কাউন্টারভিত্তিক টিকিট থাকে না, থাকলেও টিকিটে বাসের নম্বর উল্লেখ থাকে না। তাছাড়া, নম্বর প্লেট বাসের সামনে ও পেছনে থাকার কারণে যাত্রীরাও নম্বর দেখে বাসে ওঠে না। ফলে বাসের শ্রমিকরা একপ্রকার নিরাপত্তা বোধ করেই অপরাধে জড়ায়। যদিও অধিকাংশ অপরাধের পর অপরাধীরা ধরা পড়ে। কিন্তু অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর ধরা পড়লে তো আর ক্ষতি পুষিয়ে যায় না।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালক বলেন, এই বাস্তবতায় বাসের ভেতর যদি বাসের নিবন্ধন নম্বর বড় করে লেখা থাকে, তাহলে যাত্রীরা নম্বরটি তাদের পরিচিতদের কাছে মোবাইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে পারে। এতে করে বাসের চালক–শ্রমিকরা মনে করবে, তারা অপরাধ করে পার পাবে না। কারণ বাসের নম্বর যাত্রীরা আগেই পরিবার-পরিজনকে জানিয়ে দিয়েছে। অতএব তাদের দ্বারা কোনো যাত্রীর ক্ষতি হলে পুলিশ তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করবে। এই ভয়ে তারা বাসে কোনো ধরনের অপরাধ করতে সাহস পাবে না।

এই বিবেচনায় রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মনে করে, বাসের ভেতর বাসের নিবন্ধন নম্বর প্রদর্শনই বাসে চালক-শ্রমিক কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধের সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা। তাই সংগঠনটি যাত্রীবাহী বাসের ভেতর নিবন্ধন নম্বর প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায়। একইসঙ্গে সংগঠনটি যানবাহনের মালিক ও শ্রমিকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্বারোপ করে।

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

10h ago