বাহাত্তরের মূল সংবিধান ফিরে পেতে চাই: আইনমন্ত্রী

শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল’অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) আয়োজিত সেমিনারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অন্যরা। ছবি: সংগৃহীত

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আমরা ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের অনেক কিছুই ফিরে পেয়েছি। ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে আর কিছুটা ফিরিয়ে পাওয়ার চেষ্টা করেছি। সেখানে কিছুটা বাধা-বিপত্তি এসেছে এবং এটি এখন সাবজুডিস ম্যাটার।

তিনি বলেন, 'আমরা অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। কারণ আমরা বাহাত্তরের মূল সংবিধান ফিরে পেতে চাই। কখন, কীভাবে কোন বাস্তবতার নিরিখে এটা করা হবে সেটা দল ও সরকার নির্ধারণ করবে।'

আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল'অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব বলেন।

সংবিধানের ৯৬(২) অনুচ্ছেদ বা ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় কার্যকর না হওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে একটি রিভিউ পিটিশন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পেন্ডিং আছে। আশা করছি, এই রিভিউ পিটিশনের শুনানি কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হবে। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট যেভাবে রায় দিবেন, আমরা ঠিক সেভাবেই কাজ করব।'

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বহাল রাখার প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, 'আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহার যাতে কায়েম করা যায়, সেজন্যই আমরা সরকার গঠন করেছি এবং সরকারে কাজ করছি। এখন যদি নির্বাচনী ইস্তেহার বাস্তবায়নের জন্য কোন আইন করার ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে ভোট দিই, তাহলে তো আমি যে ম্যান্ডেট নিয়ে পাস করে এসেছি, তার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া হবে। সেই ক্ষমতা কিন্তু জনগণ আমাকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেয়নি। আমি যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হতাম তাহলে আমার ইচ্ছে মতো ভোট দিতে পারতাম। সুতরাং যেখানে আমি দলের প্রতীক নিয়ে, দলের ইস্তেহার দিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে পাশ করে এসেছি, সেখানে কিন্তু আমি দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারিনা।'

তিনি আরও বলেন, 'সংসদ সদস্যদেরও কারো না কারো কাছে দায়বদ্ধতা থাকা উচিত।'

'বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী নির্বাচনের আগে কারাগারে পাঠানোর এখনো কোনো চিন্তা-ভাবনা সরকারের নেই। তবে, প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছেন-বাড়াবাড়ি করলে...,' বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'নির্বাহী আদেশ যে কোনো সময় ব্যবহার করা যায় বা বাড়ানো যায়।'

একুশে আগস্ট গেনেড হামলা মামলায় উচ্চ আদালতে তারেক রহমানের সাজা বাড়ানোর জন্য আপিল করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আপনারা অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়।'

Comments

The Daily Star  | English
BDR protest Kakrail today

Cops use water cannons to disperse protesting dismissed BDR members in Kakrail

Police barred them when they were marching towards the chief adviser’s residence, Jamuna

45m ago