‘চট্টগ্রামের জনগণ সিআরবিতে কোনো হাসপাতাল করতে দেবে না’

হাসপাতাল বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী ৪  ডিসেম্বরে দেবেন আশা আ. লীগ নেতাদের
সিআরবি
নাগরিক সমাজ চট্টগ্রাম আয়োজিত সমাবেশে শনিবার প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। সিআরবির শিরিষ তলায় শনিবার বিকেলে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের জনগণ সিআরবিতে (কেন্দ্রীয় রেল ভবন) কোনো হাসপাতাল করতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

সিআরবি বাঁচাও আন্দোলনের ৪৮৩তম দিনে নাগরিক সমাজ চট্টগ্রাম আয়োজিত সমাবেশে শনিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সিআরবির শিরিষ তলায় বিকেলে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

'আমরা সিআরবিতে কোনো হাসপাতাল স্থাপন করতে দেব না, কারণ চট্টগ্রামের মানুষের তাজা বাতাসে শ্বাস নেওয়ার জন্য কিছু জায়গা প্রয়োজন,' তিনি বলেন।

'যারা একবারের জন্যও সিআরবিতে এসেছেন তারা ভাবতেও পারেন না যে এই এলাকায় হাসপাতাল হবে,' বলেন মোশাররফ।

চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোশাররফ বলেন, 'যখন হাসপাতাল প্রকল্প বাতিল করে সিআরবিকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলন শুরু হয়, তখন আমি একটি উদ্যোগ নিই। আমি রেলমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া একটি আবেদনে চট্টগ্রামের সব সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করি,' যোগ করে বলেন, 'চট্টগ্রামের  সব আইনপ্রণেতা এবং মন্ত্রীরা এই আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন যেখানে রেলমন্ত্রীকে সিআরবি থেকে হাসপাতাল প্রকল্পটি অন্য এলাকায় স্থানান্তর করার অনুরোধ জানানো হয়।'

তিনি বলেন, 'সেদিন রেলমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা যদি সিআরবিতে হাসপাতাল হোক সেটা না চান, তাহলে প্রকল্পটি অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হবে।'

তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন অনুভব করবেন।'

তিনি বলেন, '৪ ডিসেম্বর বন্দর নগরীর পলো গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবি তুলে ধরব। ওই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

'আমি বিশ্বাস করি যে প্রধানমন্ত্রী জনসভা থেকে ঘোষণা করবেন যে সিআরবিতে কোনো হাসপাতাল হবে না,' বলেন মোশাররফ।

মোশাররফ আরও বলেন, ডিসি হিলও সাধারণ মানুষের জন্য মুক্ত করতে হবে। 'বর্তমানে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের বাসভবন ডিসি হিলে অবস্থিত কিন্তু ডিসির থাকার জন্য আমাদের চট্টগ্রামে অনেক সরকারি বাংলো আছে,' তিনি বলেন, 'ডিসি হিলকে সাধারণ মানুষের জন্য একটি সম্পূর্ণ পার্কে পরিণত করতে হবে।'

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী একটি বিশেষ বার্তা দিতে ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আসবেন, যোগ করেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতির পর এটি হবে তার প্রথম জনসভা।

'স্থানীয় মানুষের আবেগের বিরুদ্ধে গিয়ে সরকার কোনো প্রকল্প হতে দেবে না,' তিনি বলেন।

'এ কারণে, আমি মনে করি, হাসপাতাল প্রকল্পটি সিআরবি থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হবে, বলেন তিনি।

নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

9h ago