ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে ডিজিটাল ব্যানারের বাজার চাঙা

ব্যানার তৈরি ও সেগুলো কাঠের ফ্রেমে আটকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডিজিটাল ব্যানারের তৈরির কাজে নিয়োজিত শ্রমিক ও কাঠমিস্ত্রিরা। ছবি: সুজিত কুমার দাশ/স্টার

আগামী শনিবার ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর শহর ছেয়ে গেছে ডিজিটাল ব্যানারে। ব্যানার তৈরি ও সেগুলো কাঠের ফ্রেমে আটকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডিজিটাল ব্যানারের তৈরির কাজে নিয়োজিত শ্রমিক ও কাঠমিস্ত্রিরা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শহরের ভাঙ্গারি পট্টি মোড় ও গোয়ালচামট স্বর্ণ কুটির বিপণী বিতান মার্কেটে ডিজিটাল ব্যানার প্রস্তুতকারী অন্তত ১০টি দোকান ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

আই.বি. ডিজিটাল সাইনের ডিজাইনার ইমরান বিশ্বাস বলেন, 'ফেব্রুয়ারিতে ডিজিটাল ব্যানারের কাজ হাতে নেওয়ার পর কোনো রকমে টিকে ছিলাম। কিন্তু, গত ১০ দিনে অনেক কাজ পেয়েছি। এখনো কাজ আসছে। আগামীকালও কাজের চাপ থাকবে।'

তিনি আরও বলেন, '১৮ থেকে ২২ টাকা ফুট হিসেবে এসব ব্যানার প্রিন্ট হচ্ছে। কাপড়ের ব্যানার লিখতে সময় লাগে, এছাড়া নানা সীমাবদ্ধতার কারণে জনপ্রিয় অবস্থানে আছে ডিজিটাল ব্যানার।'

শহরের স্বর্ণকুটির বিপণী বিতানে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ব্যানারের কাজ করেছে বন্ধন ডিজিটাল সাইন। গত ১০ দিনে ওই প্রতিষ্ঠান প্রায় সাড়ে ৪-৫ হাজার ব্যানার ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। সবই বিএনপির সমাবেশ নিয়ে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মো. ইসলামুল হক বলেন, 'গত কয়েকদিন ধরে আমরা ঠিক মতো খাবার খাওয়ারও সময় পাচ্ছি না। এমন কাজের চাপ আমাদের প্রতিষ্ঠানে এবারই প্রথম। ভালো ব্যবসা হচ্ছে। যেসব ব্যানারের অর্ডার ছিল সব ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে গেছে। আবার নতুন অর্ডারও আসছে। এই চাপ ১১ নভেম্বর পর্যন্ত থাকবে।'

ডিজিটাল প্লাস ডিজাইন অ্যান্ড প্রিন্টিংয়ের কর্মী মো. রাকিব মাতুব্বর জানান, গত ৬ দিনে আমাদের ৩ হাজারেরও বেশি ব্যানার প্রিন্ট করতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি অর্ডার গেছে গতকাল, আজও হাতে প্রচুর কাজের চাপ।

সকাল ১১টার দিকে গণসমাবেশস্থল কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের মাঠের এক পাশে ৪ জন কাঠমিস্ত্রিকে কাজ করতে দেখা যায়। তারা ডিজিটাল ব্যানার কাঠের ফ্রেমবন্দী করে টানানোর কাজ করছিলেন। এরা হলেন- শহীদ শেখ (৫২), মিন্টু খান (২২), খবির শেখ (৩৭) ও ফরহাদ শেখ (৪০)।

শহীদ শেখ বলেন, 'আমার ৪ জন ব্যানারগুলো কাঠের ফ্রেমে আটকে দেওয়ার কাজ পেয়েছি। এলাকায় কাজ করলে আমরা দিনে যা আয় করি এখানে থেকে তারচেয়ে বেশি আয় করতে পারছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

2h ago