করতোয়ায় নৌকাডুবি: ৪৬ দিন পর নিখোঁজ আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার

গত ২৫ সেপ্টেম্বর আউলিয়া ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। স্টার ফাইল ফটো

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনার ৪৬ দিন পর আরও এক শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

মরদেহটি নিখোঁজ শিশু জয়া রাণীর বলে শনাক্ত করেছে তার স্বজনেরা।

আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়ার ঘাট এলাকায় নৌকাডুবির স্থান থেকে প্রায় একশ ফুট  দক্ষিণ-পশ্চিমে নদীর বালুর নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

এ নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭১ জনের মরদেহ উদ্ধার  হলো।

উদ্ধারের পর মরদেহটি নিখোঁজ শিশু জয়া রাণীর বলে শনাক্ত করেছে তার স্বজনেরা। নিহত জয়া রাণী পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের ঘাটিয়ারপাড়া এলাকার ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের মেয়ে।

এর আগে গত বুধবার দুপুরে নিখোঁজ ভূপেন্দ্র নাথ বর্মণের (৪২) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

মহালয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২ মেয়ে জয়া (৪) ও জ্যোতিকে (২) নিয়ে নৌকায় উঠেছিলেন মা আলোশবরী রাণী।

মাঝ নদীতে নৌকাডুবিতে তারা তলিয়ে যান। উদ্ধারকারীদের মাধ্যমে আলোশ্বরী রাণী পারে উঠতে পারলেও হারিয়ে যায় তার দুই কন্যা।

পরে জ্যোতির মরদেহ উদ্ধার হলেও, ঘটনার ৪৬ দিন পর জয়ার মরদেহ উদ্ধার হলো। 

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস  ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে করতোয়া নদীতে বালু ও নূড়ি পাথর তোলা শ্রমিকেরা পানির নিচে গন্ধ পাচ্ছিলেন। পরে তারা বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বোদা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানান। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে স্থানীয়দের সহায়তায় পানির নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বাজারের পাশে করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাট থেকে শতাধিক মানুষ নিয়ে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরে দিকে যাচ্ছিল। যাত্রীরা প্রায় সবাই ওই মন্দিরে মহালয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। ঘাট থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর নৌকাটি ডুবে যায়।

জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী এখনো সাকোয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়ার সলেন্দ্রনাথ বর্মন নিখোঁজ রয়েছেন।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

1h ago