ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদলকর্মী নিহত

নিহত নয়ন। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির সমাবেশের লিফলেট বিতরণকালে পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত ছাত্রদলের এক কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক (সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'নিহত নয়ন মিয়া সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন।'

হাসপাতালে নয়নের সঙ্গে আসা বন্ধু সোলাইমান ও প্রতিবেশী চাচাতো ভাই মো. সজিব দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে নয়ন বাঞ্ছারামপুরে লিফটের বিতরণ করছিলেন। সেসময় তার সঙ্গে প্রায় ২০০-২৫০ নেতাকর্মী ছিলেন। বাঞ্ছারামপুর থানা সংলগ্ন মোল্লাবাড়ি নতুন ব্রিজে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশ শটগান দিয়ে গুলি করে। এতে নয়নের পেটে গুরুতর আঘাত লাগে। এ ঘটনায় নয়ন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে নয়নকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।'

নিহত নয়ন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শিবপুর গ্রামের রহমতউল্লাহর ছেলে। তিনি কেরানীগঞ্জর কালীগঞ্জে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন।

হাসপাতালে বিএনপির নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক (সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় লিফলেট বিতরণকালে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়ন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া, প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।'

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া ডেইলি স্টারকে জানান, 'মুমূর্ষু অবস্থায় নয়নকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Road crashes, deaths unabated as laws, guidelines ignored

At least 6.26 lakh vehicles did not get their fitness certificates as of July 24 this year

13h ago