টরন্টোয় দুর্ঘটনা

অ্যাঞ্জেলা বারৈয়ের মরদেহ আসছে ২৪ ফেব্রুয়ারি

কানাডার টরন্টোয় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার টরন্টোয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে অ্যাঞ্জেলা বারৈ শ্রেয়ার মরদেহ আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে আনা হবে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে কানাডাপ্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর আজ বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অ্যাঞ্জেলার বাবা জেমস সুনাম বারৈ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অ্যাঞ্জেলার মরদেহ গ্রহণ করবেন।'

তিনি বলেন, 'দুর্ঘটনায় নিহত শাহরিয়ার খান ও আরিয়ান দীপ্তর মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকায় তাদের মরদেহ দেশে আনতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।'

এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত কুমার নিবিড় টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। দুর্ঘটনায় মাথার আঘাত তীব্র, শরীরের অর্ধেকের বেশি অংশ দগ্ধ ও একটি চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।

শওগাত আলী সাগর জানান নিবিড়ের বাবা-মা সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ ও মা নাঈমা সুলতানা এবং তার চাচা অভিজিৎ দে গত মঙ্গলবার অনটারিও পুলিশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

অভিজিতের বরাত দিয়ে শওগাত আলী সাগর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে এবং নিবিড়ের ব্যক্তিগত সামগ্রীর ব্যাপারে খোঁজ নিতে তারা পুলিশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিবিড়ের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির নিবন্ধন ও বীমা ছিল।'

কানাডার অনটারিও প্রভিন্সিয়াল পুলিশের হাইওয়ে সেফটি ডিভিশনের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিপি২৪ জানায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গতকাল শওগাত আলী সাগর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'এ দুর্ঘটনায় ২ জন ঘটনাস্থলে মারা গিয়েছেন। অ্যাঞ্জেলা বারৈকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি সেখানে মারা যান।'

'সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে কুমার নিবিড় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। লাইফ অ্যান্ড ডেথ সিচুয়েশেন।'

তারা ৪ জনই হাম্বার কলেজের শিক্ষার্থী।

'গাড়িটি খুব দ্রুতগতিতে চলছিল' উল্লেখ করে শওগাত আলী সাগর আরও বলেন, 'এটি এক হাইওয়ে থেকে আরেক হাইওয়েতে উঠার সময় টার্ন নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সেখানে একটু কার্ভ ছিল। হাইওয়ের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি ৩ বার উল্টে যায়।'

'গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ফায়ার ব্রিগেড স্বল্প সময়ের মধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে না পৌঁছলে বডি পাওয়া যেত না। পুরো ছাই হয়ে যেত', যোগ করেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English
child victims of July uprising Bangladesh

Child victims of July uprising: Of abandoned toys and unlived tomorrows

They were readers of fairy tales, keepers of marbles, chasers of kites across twilight skies. Some still asked to sleep in their mother’s arms. Others, on the cusp of adolescence, had just begun to dream in the language of futures -- of stethoscopes, classrooms, galaxies. They were children, dreamers of careers, cartoons, and cricket.

10h ago