স্বল্পোন্নত দেশগুলো করুণা চায় না, তাদের ন্যায্য পাওনা চায়: প্রধানমন্ত্রী

কাতার সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলো করুণা বা দাক্ষিণ্য চায় না। বরং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের ন্যায্য পাওনা চায়।

কাতারে অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফিরে আজ সোমবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন। আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের এলডিসি সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে এটাই সম্ভবত বাংলাদেশের শেষ অংশগ্রহণ। কারণ ২০২৬ সালে আমরা এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাব, আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হব।

তিনি বলেন, এই সম্মেলনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আমি বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরেছি। একই সঙ্গে আমি ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মসৃণ ও টেকসই উত্তরণ নিশ্চিত করতে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে বিভিন্ন দাবি ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছি।

তিনি বলেন, ৫ মার্চ কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এলডিসি ৫ সম্মেলনে ওপেনিং প্ল্যানারি মিটিংয়ে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করি।

ওই অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন শুড বি রিওয়ার্ডেড, নট পানিশড।

ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'স্বল্পোন্নত দেশগুলো করুণা বা দাক্ষিণ্য চায় না। বরং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের ন্যায্য পাওনা চায়। এই কথা আমি স্পষ্টভাবে বলেছি। এছাড়া বাংলাদেশসহ উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর উন্নয়ন অর্জনকে গতিশীল রাখতে বর্ধিত সময়ের জন্য এলডিসি দেশগুলোর জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

1h ago