পরপর দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না, ‘গ্যাপ’ দিয়ে হতে পারে: সালাহউদ্দিন

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের বিরতিতে সংবাদ ব্রিফিং করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: স্টার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপির প্রস্তাব পরপর দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না, তবে বিরতি দিয়ে হতে পারে।  

আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির তৃতীয় দিনের আলোচনার বিরতিতে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।

দুপুরে বৈঠকের বিরতিতে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদের ক্ষেত্রে একটা বিতর্ক আছে। ঐকমত্য কমিশন একটা বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে সেটা এখনো আমরা ফরমালি পাইনি।'

'আমাদের দলের অবস্থান আগেও বলেছি যে, পরপর দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। তারপর গ্যাপ দিয়ে হতে পারে,' যোগ করেন তিনি।

বিএনপির এই নেতা দলের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, 'যদি আমরা ইলেকশন কমিশনকে স্বাধীন সত্তা হিসেবে কাজ করতে দেই এবং যদি কেয়ারটেকার সরকার আসে তাহলে ফ্রি ফেয়ার নিউট্রাল ইলেকশন করা যাবে। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের অধীনে সেই চর্চার মধ্য দিয়ে যদি জনগণ একটি দলকে যদি বারবার চায়, তার মানে সেটা জনগণ তাদের ম্যান্ডেট দিয়েছে।'

'সেক্ষেত্রে ওই পার্টির স্বাধীনতা থাকা উচিত। তার মানে এটা না যে সবসময় একই ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে। এটা পার্টির স্বাধীনতা। যারা মেজরিটি হবে পার্লামেন্টে তাদের স্বাধীনতা,' বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, 'আরেকটা বিষয় হলো—প্রধানমন্ত্রী, দলীয়প্রধান ও সংসদ নেতা—এখানে যে মেজরিটি পার্টি পার্লামেন্টে সংসদীয় দল হয়, সেই পার্টি তখন ডিসাইড করে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন।'

তিনি বলেন, 'নেসেসারিলি যে পার্টির চিফ হবেন এমন কথা নাই। এরকম ইনস্ট্যান্স অনেক আছে, কিন্তু প্রভিশনটা ওপেন রাখা উচিত, অপশন রাখা উচিত। প্রধানমন্ত্রী যিনি হবেন এটা দেখা যায় যে, পার্লামেন্টে এটা একটা ট্রেডিশন প্রধানমন্ত্রী সংসদ নেতা হয়। কিন্তু কোনো কোনো দেশে সংসদ নেতাকে আলাদাও করেছে এরকম নজির আছে।'

'কিন্তু এখানে সংসদ নেতার কোনো এক্সিকিউটিভ পাওয়ার নেই। সংসদ নেতা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো মন্ত্রণালয় লিড করেন, সেরকম নয়। এটা আলাদা এনটিটি, সংসদে কিছু কাজ থাকে। স্পিকার সংসদ নেতার সঙ্গে আলাপ করে সে কাজগুলো করেন' বলেন তিনি।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, 'এখানে সংসদ নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী এটা অনেকটা অবিচ্ছেদ্য অংশের মতো। কিন্তু ইন প্র্যাকটিস দেখা গেছে যে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এটা থাকাই সর্বোত্তম।

আমাদের রুলস অব প্রসিডিউর অনুসারে কয়েকটা জায়গায় শুধু সংসদ নেতার উল্লেখ আছে। বিধিতে সংশোধনী এনে সংসদ নেতার ফাংশনগুলো রিঅ্যারেঞ্জ করা যাবে, এটা তেমন বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।'

Comments

The Daily Star  | English

Public Service Act: Ordinance out amid Secretariat protests

The government last night issued an ordinance allowing dismissal of public servants for administrative disruptions within 14 days and without departmental proceedings.

7h ago