‘চরাঞ্চলে বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেশি’

ছবি: স্টার

বাল্যবিয়ের সমস্যা সারাদেশে থাকলেও দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেশি।

ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালানো সত্ত্বেও করোনা মহামারির পর বাল্যবিয়ের সংখ্যা আবার বেড়েছে এবং এ সমস্যা মোকাবিলার জন্য একটি সামগ্রিক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে ফ্রেন্ডশিপ ও দ্য ডেইলি স্টারের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'প্রিভেনশন অব চাইল্ড ম্যারেজ ইন রিমোট অ্যান্ড মার্জিনালাইজড চরস অব নর্দার্ন বাংলাদেশ'  শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এ সময় বলেন, 'আমি মনে করি বাল্যবিয়ের পরিসংখ্যান এবং এর আঞ্চলিক তুলনা খুবই উদ্বেগজনক।'

ফ্রেন্ডশিপের সহকারী পরিচালক (ইনক্লুসিভ সিটিজেনশিপ)) আহমেদ তৌফিকুর রহমান উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের সামগ্রিক প্রবণতা ৫১ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

তিনি বলেন, 'রাজশাহী ও রংপুরে বাল্যবিয়ে বেশি, প্রায় ৬৮ শতাংশ। চরে এই সংখ্যা অনেক বেশি।'

সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওনো ভ্যান মানেন বলেন, 'বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সক্রিয় হওয়ার জন্য সরকারি কর্মীদের অনুপ্রাণিত করাও চ্যালেঞ্জিং। যারা বাল্যবিয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় না। এদিকেও নজর দিতে হবে'।'

কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত চরের স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরাও বাল্যবিয়ে সম্পর্কে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

কুড়িগ্রামের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, 'বাল্যবিয়ের প্রধান কারণ দারিদ্র্য। এছাড়া নিরক্ষরতা ও নিরাপত্তাহীনতারও ভূমিকা আছে এক্ষেত্রে।'

ফ্রেন্ডশিপের নির্বাহী পরিচালক রুনা খান তার সমাপনী বক্তব্যে বাল্যবিয়ে বন্ধে সমাজের ভূমিকার ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা দলের প্রধান নাটালি ম্যাককলি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই, বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-মহাপরিদর্শক (প্রটেকশন অ্যান্ড প্রটোকল) আমেনা বেগম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক (প্রধান কার্যালয়) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

Comments

The Daily Star  | English

Challenges in Policing: Police stations buckling under budget strain

The government also supplies police stations with some of the items they request each month, but only a portion of the demand is met.

12h ago