ইনসেপ্টার কারখানা পরিদর্শনে এনডিসির প্রতিনিধিদল

ছবি: সংগৃহীত

দেশের অন্যতম শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সাভার কারখানা পরিদর্শন করেছে ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) একটি প্রতিনিধিদল।

এনডিসির কোর্স কারিকুলামের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার এই পরিদর্শনের আয়োজন করা হয়।

এয়ার ভাইস মার্শাল মু. কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ও বন্ধুপ্রতীম বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন পদমর্যাদার মোট ৯২ জন সদস্য এই পরিদর্শনে অংশ নেন।

এদিন সকালে সাভারের জিরাবোর কারখানায় ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের অভ্যর্থনা জানান। এই পর্ব শেষে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল করীম ইনসেপ্টার ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে এনডিসির প্রতিনিধি দলকে ব্রিফ করেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

এরপর প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হাইটেক প্রযুক্তি ব্যবহারে মাধ্যমে ইনসেপ্টার বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং সেগুলো সংরক্ষণ ও এর সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি ঘুরে দেখেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইনসেপ্টার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স) নাসরিন জাহান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফরমুলেশন) সালেহ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শরাফত আলী, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তানিয়া মোস্তফা, এবং ডিজিএম (প্রশাসন) জাহিদুল আলম। 

এনডিসির প্রতিনিধিদলের প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল মু. কামরুল ইসলাম ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের সার্বিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, 'দেশের একটি কোম্পানি সব ধরনের আন্তর্জাতিক মান ও শর্ত বজায় রেখে যেভাবে মানসম্মত ওষুধ উৎপাদন করছে, তা সরেজমিনে না দেখলে উপলব্ধি করা সম্ভব হতো না। এই সামর্থ্য ও সক্ষমতা নিঃসন্দেহে অতুলনীয়।'

প্রতিনিধিদলে সশস্ত্র বাহিনীর অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভেতর ছিলেন- রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান, মেজর জেনারেল সাঈদ তারেক হোসাইন ও মেজর জেনারেল মো. মোস্তাগাউসুর রহমান খান।

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। দীর্ঘ অভিজ্ঞতার পাশাপাশি হাইটেক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই কোম্পানি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিন তৈরি করে দেশের ওষুধ শিল্পজগতে নতুন পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

No scope to avoid fundamental reforms: Yunus

Conveys optimism commission will be able to formulate July charter within expected timeframe

3h ago