সীমান্তের বিলে ভাসছিল বাংলাদেশি যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ

আদিতমারী সীমান্তের কুমারতারি বিল থেকে বিজিবির সহায়তায় পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত রফিকুল ইসলাম ওরফে টেরের (২০) লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চওড়াটারী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

আজ শুক্রবার সীমান্তের কুমারতারি বিলে ভেলায় তার মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।

পরে বিকেলে দূর্গাপুর ইউনিয়নের কুমারটারী সীমান্তে ৯২৭ নম্বর মেইন পিলারের কাছে জিরো লাইন থেকে বিজিবির সহায়তা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম (২৬) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকালে আমার ভাই স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে সীমান্তের ওপারের জারিধরলা দরিবাস গ্রামে যান। পরে আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করে মরদেহটি কলাগাছের ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

'ভারতীয়দের সহায়তায় বাংলাদেশের দুষ্কৃতিকারীরা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে,' দাবি করেন তিনি।

নিহতের চাচা সফিয়ার রহমান (৫৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার ভাতিজা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল না। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ তদন্ত করে দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনবে এটা আমাদের দাবি।'

'কোন অপরাধে আমার ভাতিজাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে,' প্রশ্ন করেন তিনি।

আদিতমারী থানার ওসি মোজাম্মেল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সীমান্তের জিরো লাইন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তার বুকে গুলি করা হয়েছে। বিজিবির সহযোগিতা নিয়ে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবে।'

'তবে এখন পর্যন্ত এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে তাকে কারা হত্যা করেছে,' বলেন তিনি।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান ওসি।

নিহত রফিকুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

15 army officers in custody taken to tribunal amid tight security

The tribunal is set to review the progress of two cases of enforced disappearance

29m ago