ড. ইউনূসের বক্তব্য উল্লেখ করে আইওসি সভাপতিকে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্টের চিঠি

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি টমাস বাখকে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্গারিটিস শিনাসকে লেখা চিঠি। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ শীতকালীন যুব অলিম্পিকের সমাপ্তিতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সভাপতি টমাস বাখকে চিঠি লিখেছেন ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্গারিটিস শিনাস। চিঠিতে তিনি বিশ্বশান্তি ও মানব উন্নয়নে খেলাধুলার গুরুত্ব নিয়ে ড. ইউনূসের সামাজিক উদ্যোগ ও ভাবনার কথা তাকে স্মরণ করিয়ে দেন।

শিনাস তার চিঠিতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংহতি এবং সুযোগের সমতার মতো মূল্যবোধের মাধ্যমে একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যুব অলিম্পিক গেমসের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। শান্তি প্রতিষ্ঠায় খেলাধুলার তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন।

চিঠিতে মার্গারিটিস শিনাস বলেন, ড. ইউনূস ২০২১ সালে যখন অলিম্পিক লরেল সম্মাননা পান, তখন তিনি আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে খেলাধুলার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ড. ইউনূস বলেছিলেন, 'খেলাধুলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। এটি সব মানুষের শক্তি ও আবেগের প্রকাশ ঘটায়।' তিনি এর ওপর জোর দিয়ে আমাদের এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অর্জন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।

'তিন বছর পরও তার ওই বক্তব্য সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। ক্রমবর্ধমান সংকটময় সময়ে আমরা বাস করছি এবং এ সংঘর্ষপূর্ণ সময়ে আমাদের সমাজে সংহতি বজায় রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে নেতৃত্বের নজির গড়েছেন ড. ইউনূস। সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে তার অটল প্রচেষ্টার সর্বশেষ উদ্যোগ "ইউনুস স্পোর্টস হাব"। অলিম্পিকের আদর্শকে ধারণ করে তিনি খেলাধুলার মাধ্যমে মানবসম্পদের উন্নয়নে কাজ করছেন।'

'ড. ইউনূস আমাদের সবার জন্য মহান অনুপ্রেরণা,' চিঠিতে উল্লেখ করেন ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিনাস।

গত ১ ফেব্রুয়ারি শিনাস তার এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে চিঠিটি পোস্ট করেছেন। চিঠির শেষে বলা হয়, ২০২৪ সালের শীতকালীন যুব অলিম্পিক গেমসের বক্তব্য স্পষ্ট-যারা পিছিয়ে আছে তাদের প্রতি সংহতি দেখান, তাদের কাছে পৌঁছে সামনে নিয়ে আসুন, তাদের প্রতি সদয় হোন।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

2h ago