আমরা কোনো মুক্তিপণ দেইনি: অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের ভাই

নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধারের পর র‌্যাবের বান্দরবান কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধারে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়েছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে।

মুক্তিপণের বিষয়ে জানতে চাইলে আজ বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে নেজাম উদ্দীনের ছোট ভাই মিজানুর রহমান বলেন, 'আমরা কোনো মুক্তিপণ দেইনি। উদ্ধারের বিষয়ে র‍্যাব ভালো বলতে পারবে।'

মিজানুর রহমান বাংলাদেশ পুলিশে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত।

তিনি বলেন, 'র‍্যাবের সহায়তায় আমার ভাইকে উদ্ধার করা হয়েছে কিছুক্ষণ আগে। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে ছিলাম।'

'রুমা বাজারের পাশে তাকে পাওয়া গেছে। তিনি বর্তমানে সুস্থ আছেন,' যোগ করেন মিজানুর।

কেউ মুক্তিপণ চেয়েছিল কি না, জানতে চাইলে নেজাম উদ্দীনের স্ত্রী মাইসুরা ইসফাত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল বুধবার রাতে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল। তবে আমার স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাকে দিতে পারেনি। কথা বলে মনে হয়েছে ফেক। কেউ হয়ত প্রতারণার জন্য ফোন দিয়েছিল।'

আজ র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, 'র‌্যাবের মধ্যস্থতায়' সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুই দিনের অভিযানের পর রুমা বাজারের পাশের এলাকা থেকে সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়েছে।'

২ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে বান্দরবানের রুমায় উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্স ভবনে হামলা চালিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে গেছে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

ওইদিন রুমা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নেজাম উদ্দীনের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়।

অপহরণের বিষয়ে তিনি বলেন, 'রাত ৮টার দিকে দুবৃর্ত্তরা উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্সের মসজিদে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন নামাজের জন্য অনেক কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। তাদেরকে সবাইকে বন্দি করে সন্ত্রাসীরা প্রচণ্ড মারধর করে। তারা অস্ত্র হাতে ব্যাংক ম্যানেজারকে জিম্মি করে ব্যাংকে নিয়ে যায়।'

তিনি আরও বলেন, 'ডাকাতরা ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রও লুট করেছে। তারা পুলিশের দুটি এসএমজি ও ৬০ রাউন্ড গুলি, আটটি চীনা রাইফেল ও ৩২০ রাউন্ড গুলি এবং আনসারের চারটি শর্টগান ও ৩৫ রাউন্ড গুলি লুট করেছে।'

ঘটনাটি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia’s body taken to Parliament Complex ahead of janaza

Janaza will be held at Manik Mia Avenue at 2pm

3h ago