‘খুব কঠোরভাবে’ বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বঙ্গবন্ধু শান্তি পুরষ্কার চালু হচ্ছে ২০২৫ সালে
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: পিআইডি

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার প্রধান 'খুব কঠোরভাবে' এ সংক্রান্ত নির্দেশ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

'কিছু কিছু পণ্যের সরবরাহ ঠিক আছে, অর্থাৎ পণ্যের সংকট না থাকা সত্ত্বেও বাজারে কৃত্রিম মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা দেখেছেন। সেজন্য সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্টভাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন,' জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

বঙ্গবন্ধু শান্তি পুরস্কার

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এজন্য 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা, ২০২৪' এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রতি দুই বছরের এ পুরস্কার দেওয়া হবে। একটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কারের মূল্যমান এক লাখ মার্কিন ডলার ও আঠার ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের পদক।

এই নীতিমালার আওতায় বাংলাদেশ বা বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে কয়েকটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পুরস্কার দেওয়া যাবে।

তবে এ সংক্রান্ত জুরিবোর্ডে কারা থাকবেন তা চুড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন মাহবুব হোসেন।

নোবেল বা অন্য আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি, যে কোনো দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান বা সেই দেশের সংসদ সদস্যরা এ পুরস্কারের জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। ২০২৫ সালেই এ পুরস্কর চালু হবে বলে জানিয়েছেন মাহবুব হোসেন।

সনদ সত্যায়নে জটিলতা কমবে

মন্ত্রিসভা বৈঠকে 'অ্যাপোসটাইল কনভেনশন, ১৯৬১' এ বাংলাদেশের পক্ষভুক্ত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বলেন, 'বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী বা কোনো ব্যক্তির ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করতে হয়। যেসব দেশের দূতাবাস বাংলাদেশে নেই সেই ক্ষেত্রে দিল্লিতে গিয়ে ওইসব দেশের দূতাবাসে সনদ জমা দিয়ে সত্যায়িত করতে হয়। এতে বিরাট জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়। অ্যাপোসটাইল কনভেনশনের পক্ষভুক্ত হলে এই জটিলতা থেকে রেহাই পাবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ অন্যরা।

নতুন আইনে সিইসি-ইসিদের বেতন

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) বেতন নির্ধারণ করে নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার), আইন, ২০২৪' এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বর্তমানে থাকা এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ সংশোধন করে আইনটি হচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগণ ৯৫ হাজার টাকা করে বেতন পাবেন। এটা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।'

বিদ্যমান অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতা পাবেন এবং নির্বাচন কমিশনার হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতা পাবেন।

মাহবুব হোসেন বলেন, প্রস্তাবিত আইনে ওই রকম না লিখে বেতন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে অন্যান্য আনুষাঙ্গিক ভাতা এবং সুবিধা তারা পাবেন।

Comments

The Daily Star  | English
FY2026 Budget,

How the FY2026 budget can make a difference amid challenges

The FY2026 budget must be more than a mere fiscal statement.

15h ago