সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সীমিত সময়ের জন্যে: আসিফ নজরুল

অধ্যাপক আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীসহ সারা দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। আগামী দুই মাস (৬০ দিন) এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

এ বিষয়ে আসিফ নজরুল গতকাল রাতে টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বর্তমানে কিছু কিছু অঞ্চলে বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলগুলোতে নাশকতা, অরাজকতা এবং দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার মতো কিছু কর্মকাণ্ড ঘটছে বলে আমরা লক্ষ্য করেছি। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে এই পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য। এ সমস্ত অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার জন্য, মোকাবিলা করার জন্য।'

এই ক্ষমতা সীমিত সময়ের জন্য দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এ অধ্যাপক বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এর কোনো অপপ্রয়োগ ঘটবে না। আশা করছি পরিস্থিতির উন্নয়ন হলে সেনাবাহিনীর এই দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।'

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করে আওয়ামী লীগ সরকার।

পরে ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখনো সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন আছে। এর ভেতর বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যেই সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হলো।

গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫ (২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অধীন অপরাধগুলো আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন সেনাবাহিনীর বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া কর্মকর্তারা।

এর ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তারা অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারবেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থাও নিতে পারবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Hopes run high as DU goes to vote today

The much-anticipated Ducsu and hall union elections are set to be held today after a six-year pause, bringing renewed hope for campus democracy.

4h ago