‘বৈষম্যমূলক’ ইপিজেড শ্রম আইন সংশোধনের দাবি

সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত গ্লোবাল লেবার প্রোগ্রামের আওতায় এ সভা আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯ সংশোধনের মাধ্যমে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের শ্রমিকদের ইউনিয়ন করার এবং যৌথ দর কষাকষির অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়েছে এক সভায়।

রাজধানীর গুলশানে সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত গ্লোবাল লেবার প্রোগ্রামের আওতায় আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।

বক্তারা এমন এক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান যেখানে সব শ্রমিকরা সমান অধিকার ভোগ করবে এবং বাধাহীনভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিচার চাওয়ার অধিকার থাকবে।

বৈঠকে কুইন সাউথ টেক্স মিলস লিমিটেডের শ্রমিক কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আসাদুল হক বলেন, 'ইপিজেডের শ্রমিকরা কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো সংগঠনে যুক্ত হতে পারেন না। যদি কারও সঙ্গে মিশতে না পারি, তাহলে আমরা অধিকার সম্পর্কে জানব কীভাবে? শক্তিশালী সংগঠনের জন্যে প্রয়োজন সচেতন শ্রমিক।'

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইপিজেডগুলোতে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ৫ লাখ ১৬ হাজার ৫৮৮ যার ৬৬ শতাংশ নারী।

২০১২-২২ অর্থবছরে ইপিজেডগুলো আয় করেছে ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার যা গার্মেন্টস সেক্টরের মোট আয়ের ৫৪ শতাংশ।

সভা সঞ্চালনা করেন সলিডারিটি সেন্টারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার লিলি গোমেজ।

সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর একেএম নাসিম বলেন, 'ইপিজেড শ্রমিকদের শ্রমিক অধিকার নিয়ে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের কাছে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে, যেন করে তাদের সংঠন করার জ্ঞান ও সক্ষমতা বাড়ে।'

'দেশের বিচার ব্যবস্থায় ইপিজেড শ্রমিকদের অভিগম্যতা সীমিত। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এ এর চেয়ে বেশি অধিকার আছে। ইপিজেড আইনের পরিপূর্ণ পর্যালোচনা এবং দ্রুত সংশোধন জরুরি,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Hopes run high as DU goes to vote today

The much-anticipated Ducsu and hall union elections are set to be held today after a six-year pause, bringing renewed hope for campus democracy.

6h ago