এই সরকার বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মনে করে না: নাহিদ ইসলাম

নাহিদ ইসলাম। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

অন্তর্বর্তী সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক মনে করে না বলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন। 

আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতির পিতা স্বীকৃতির বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, 'এই স্বীকৃতি আওয়ামী লীগ দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট দল ক্ষমতায় ছিল, মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে, গুম-খুন করে, গণহত্যা করে ক্ষমতায় ছিল। তারা কাকে জাতির পিতা বলল, তারা কোন দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করল—নতুন বাংলাদেশে সেটার ধারাবাহিকতা থাকবে না।'      

তিনি বলেন, 'আমরা বলেছি নতুন বাংলাদেশকে আমরা নতুনভাবে গড়ে তুলব। তাই আমাদের ইতিহাসের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে। আওয়ামী লীগের করা সবকিছুকে জাতীয় ভাবা...ভোটবিহীন ওই সরকারের তো বৈধতা নেই। সে সময় তো অনেক কিছুই করা হয়েছে। সবকিছু পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।'

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক মনে করে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম, 'অবশ্যই মনে করি না। কেন মনে করব? আমাদের এই ভূখণ্ডের লড়াইয়ের ইতিহাসে কেবল একজন না, বহু মানুষের অবদান আছে। আমাদের ইতিহাস শুধু বায়ান্ন থেকে শুরু হয়নি। আমাদের ইতিহাসের দীর্ঘ লড়াই আছে।'

'আমাদের ভূখণ্ডে ব্রিটিশবিরোধী লড়াই, ৪৭ এর লড়াই আছে, ৭১ এর লড়াই আছে, ৯০ আছে, ২৪ আছে। এখানে শেরে বাংলা ফজলুল হক, সোহরাওয়ার্দী আছেন, আবু হাশেম, যোগেন মন্ডল, মাওলানা ভাসানী আছেন। অনেক মানুষের লড়াই আছে। আমরা মনে করি এখানে একজন জাতির পিতা না, বরং অনেক ফাউন্ডিং ফাদারস আছেন। যাদের অবদানের কারণে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি,' বলেন তিনি।

উপদেষ্টা নাহিদ আরও বলেন, 'আমরা এগুলোকে একটা দলে, এক ব্যক্তিতে সীমাবদ্ধ করতে চাই না। আমাদের ইতিহাসের বহুমুখিতাকে আওয়ামী লীগ এতদিন অস্বীকার করেছে। মাওলানা ভাসানীর অবদানকে সবসময় অস্বীকার করেছে তারা। অথচ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তাকে তো ইতিহাসে রাখা হয়নি। এখন সেই ইতিহাসকে নিয়ে আসতে হবে।'    

Comments

The Daily Star  | English

Water lily tug-of-war continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June..Despite several exchanges of letters and multiple meetings between NCP and the chief election commissioner, other

2h ago