বিগত ৩ নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি

নির্বাচন কমিশন। ছবি: সংগৃহীত

বিগত তিন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওঠা অভিযোগ তদন্ত ও ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সুপারিশের জন্য ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি শামিম হোসেনকে কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

কমিটির অপর চার সদস্য হলেন: সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপণ), ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত ৩টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে এবং এসব নির্বাচনে নানা কৌশলে জনগণের ভোটের অধিকার ভুলুষ্ঠিত করে সাজানো প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার জোরালো অভিযোগ রয়েছে। 

বাংলাদেশের সংবিধানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগও এসব নির্বাচন পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে। 
এতে দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র এবং মৌলিক মানবাধিকার বিপন্ন হয়েছে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে, দেশে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে এবং ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্বপরায়ণ শাসনের আশঙ্কাকে প্রতিহত করতে এসব নির্বাচনে সংঘটিত দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 

এ লক্ষ্যে গঠিত কমিটির কার্যপরিধির মধ্যে আছে নির্বাচনগুলোর বিষয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষক, দেশি ও বিদেশি তদারকি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিবেদন ও গণমাধ্যমে উত্থাপিত অভিযোগ বিশ্লেষণ।

এসব নির্বাচনের বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এবং সার্বিকভাবে এগুলোর নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ ও বিশ্লেষণ।

এসব নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ সীমাবদ্ধ করতে ও জনগণের ভোটাধিকার বাধাগ্রস্ত করতে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল ও সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা বিশ্লেষণ।

ওই তিন নির্বাচনে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন, এর সচিবালয় এবং প্রশাসনের ভূমিকা বিশ্লেষণ।

নির্বাচন কার্যক্রমে আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা বিশ্লেষণ।

তৎকালীন নির্বাচন কমিশনগুলোর বিরুদ্ধে উত্থাপিত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগসমূহ যাচাই ও অনুসন্ধান।

বিশ্লেষণের ভিত্তিতে উল্লিখিত নির্বাচনগুলোতে অনিয়মের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতের সব নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি-বিধান, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনিক আয়োজনের কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা, পরিবর্তন ও রূপরেখা বিষয়ে সুপারিশ প্রদান।

কমিটি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

BNP opposes RPO amendment requiring alliance parties to use own symbols

Salahuddin says the change will discourage smaller parties from joining coalitions

41m ago