গোপালগঞ্জে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ৪

গোপালগঞ্জ শহরে এনসিপির সমাবেশে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার রাতে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেশ বিশ্বাসের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন আবু সাঈদ মো. ফারুক।

তিনি জানান, গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অন্তত চারজন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন।

এর আগে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেশ বিশ্বাস জানান, বিকেলে দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তারা গুলিবিদ্ধ ছিলেন।

তারা দুজন হলেন—গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা দীপ্ত সাহা (২৫) ও কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮)।

সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার রাত ৮টা থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

'দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা'র অংশ হিসেবে আজ বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সভার আগে এনসিপির সমাবেশস্থলে ২০০-৩০০ স্থানীয় জনগণ লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর করে, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সমর্থক।

সভা শেষে এনসিপি নেতারা গাড়িতে উঠে সমাবেশস্থল ত্যাগ করার সময় গাড়িবহরে হামলা হয়। গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। 

পুলিশ ও সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। হামলাকারীরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

বিকেল ৪টার দিকে এনসিপি নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নেন।

পরে বিকেল ৫টার দিকে তারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

BNP opposes RPO amendment requiring alliance parties to use own symbols

Salahuddin says the change will discourage smaller parties from joining coalitions

1h ago