‘এক মুহূর্তও দেরি করিনি, ছুটে এসেছি রক্ত দিতে’

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ রোগীদের রক্ত দিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন মানুষ। ছবি: স্টার

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ রোগীদের জন্য রক্ত দিতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ রক্তদানের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল চত্বরে রোভার স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের রক্তদাতাদের নাম ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। রোভার স্কাউট সদস্য মো. হাসান বলেন, 'আমরা এখন শুধু নাম রেজিস্ট্রি করছি। যখনই আমাদের বলা হবে আমরা একে একে রক্ত নেওয়া শুরু করব।'

মৌলভীবাজার থেকে ছুটে এসেছেন খালেদ আহমেদ। তিনি বলেন, 'আমার রক্তের গ্রুপ 'ও নেগেটিভ'। আমি শুনেছি এই গ্রুপের রক্তের দরকার হবে। তাই এক মুহূর্তও দেরি করিনি। ছুটে এসেছি রক্ত দিতে, আর দোয়া করছি যেন শিশুরা সুস্থ হয়ে ওঠে।'

ছবি: স্টার

যাত্রাবাড়ী থেকে আসা ইয়ামিন বলেন, 'রক্তের অভাবে কেউ কষ্ট পাচ্ছে, আর আমরা ঘরে বসে থাকব—এটা তো হয় না। তাই ছুটে এসেছি।'

লাইনে অনেক নারীদের দেখা যায় অপেক্ষা করতে।

কেরানীগঞ্জের নজুরগঞ্জ থেকে আসা আজিজা বলেন, 'আমি এক আত্মীয়কে নিয়ে এখানে রক্ত দিতে এসেছি। আরও কয়েকজন আসছেন। আমরা শুধু চাই, বাচ্চাগুলো যেন বাঁচে, সুস্থ হয়ে ওঠে।'

গতকাল দুপুরে উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ শিশুসহ ২৭ জন নিহত হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৭৮ জন।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

2h ago