মাইলস্টোনের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরীকে নীলফামারীতে দাফন

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিক্ষক মাহরীন চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকের পৌনে ৪টায় নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার বগুলাগাড়ী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। 

তিনি স্থানীয় মুহিত চৌধুরী ও ছাদেরা চৌধুরী দম্পতির কন্যা। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বিমানটি বিধ্বস্তের সময় মাহরীন চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছিলেন। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

আজ দুপুরের পর একটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। এসময় স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

দাফনের আগে বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে মেহেরীন চৌধুরী জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল সংখ্যক মানুষ এতে অংশ নেন।

এসময় স্থানীয়রা বলেন, জীবনের তোয়াক্কা না করে শিশু শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে মাহরীন চৌধুরী আত্মবিসর্জন দিয়েছেন। তার এই আত্মত্যাগ শিক্ষকতার মহান পেশাকে আরও মহিয়ান করেছে।

শোকে মুহ্যমান মাহরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল জানান, শিক্ষাবিস্তারে নিবেদিতপ্রাণ মাহরীন চৌধুরী তার নিজ গ্রামের বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আদলে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন।

'তার মৃত্যু আমাদের গভীর শোকের কারণ হলেও আমরা সে শোককে কাটিয়ে উঠে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Only one agreement under Indian line of credit cancelled: Foreign adviser

Touhid says several agreements mentioned in social media discussions 'don't even exist'

1h ago