বাগেরহাটের আঞ্চলিক মহাসড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ

সাইনবোর্ড–শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের কদমতলা এলাকার চিত্র। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী/স্টার

বাগেরহাটের ৫২ কিলোমিটার দীর্ঘ সাইনবোর্ড–শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়ক হাজারো যাত্রী ও চালকের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। মহাসড়কের প্রায় ১৬ কিলোমিটার অংশে কার্পেটিং উঠে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নিত্যদিনের দুর্ভোগ ও ঘন ঘন দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রায়েন্দা থেকে ঢাকায় আসা যাত্রী রশিদ শেখ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভোগান্তি কল্পনাতীত। আমরাগাছিয়া থেকে শরণখোলা পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা এত খারাপ যে, বাস বা কোনো গাড়ি ঠিকমতো চলতে পারে না। প্রতিদিনই কোনো না কোনো গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।'

সাইনবোর্ড–শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের রায়েন্দা রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকার চিত্র। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী/স্টার

বাসচালক সুখরঞ্জন দাস বলেন, 'একটা গাড়ি আরেকটা গাড়িকে ক্রস করতে গেলেই গাছের সঙ্গে বা অন্য গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পুরো রাস্তা ভাঙাচোরা, সিঙ্গেল লেন। মোড়েলগঞ্জ পেরোলেই ভোগান্তি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।'

আরেকজন চালক হাবিব বলেন, 'গাড়ির স্প্রিং মাঝে মাঝেই ভেঙে যায়। আর টায়ার ফাটা, গাছের সঙ্গে লেগে সাইড গ্লাস ভাঙা, সামনের গ্লাস ভাঙা তো নিত্য দিনের ব্যাপার। অনেক সময় উল্টে যায় গাড়ি।'

স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন হাওলাদার জানান, মহাসড়কটি এখন মানুষের কাছে 'মৃত্যুফাঁদ' নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, 'মানুষের দুর্ভোগ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে, মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।'

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহ জানান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং মহাসড়ক ঠিক করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে।

বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, 'টেন্ডার হয়েছে। ১৫–১৬ কিলোমিটার রাস্তা মেরামত করা হবে। তবে এর বাইরেও কিছু জায়গা খারাপ থাকতে পারে। এ বছর বৃষ্টি বেশি হয়েছে, এখনো চলছে। বর্ষা শেষে রাস্তাটি মেরামত করব।'

তিনি বলেন, 'টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন ও ঠিকাদার নির্বাচন করতে আরও মাসখানেক সময় লাগতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

1h ago