বাগেরহাট

সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞায় দাম বেড়েছে ঘেরের মাছের

ছবি: পার্থ চক্রবর্তী/স্টার

সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাগেরহাটের চিংড়ি ও মিঠাপানির ঘেরগুলোতে এখন মাছের চাহিদা অনেক বেশি। এরই জেরে পাইকারি আড়তগুলোতে মাছের দাম বেড়েছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।

জেলার চারটি বড় পাইকারি মাছের আড়তে—কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড বাজার, সদরের ফতেপুর, বারাকপুর, ফকিরহাটের ফলতিতা—চলছে চরম ব্যস্ততায়। সমুদ্রগামী ট্রলারগুলো তীরে নোঙর করে থাকায় স্থানীয় ঘেরচাষিদের উৎপাদিত মাছই এখন বাজারের একমাত্র ভরসা।

পাতারি চিংড়ির দাম এখন প্রতি মণ (৪৪ কেজি) ৩৭ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে, যা গত মাসের তুলনায় অন্তত ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা বেশি।

রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দামও বেড়ে প্রতি মণ ১৩ থেকে ১৯ হাজার টাকায় পৌঁছেছে।

কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড বাজারের মীনান মোছা আড়তের মালিক মান্নান শেখ বলেন, 'সমুদ্র বন্ধ থাকায় এখন ঘেরের মাছের চাহিদা বেড়ে গেছে। আমরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে ৫ শতাংশ কমিশন নিই—এটাই আমাদের লাভ। এখন প্রতি মণে গড়ে দেড় হাজার টাকার পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।'

বিসমিল্লাহ ফিশের মালিক মান্নান শেখ বলেন, 'ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার পর থেকেই ঘেরের মাছের দাম বাড়ছে। রুই, কাতলা, মৃগেল এখন প্রতি মণ ১৩ থেকে ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাতারি মাছের দাম ৩২ থেকে ৩৭ হাজার টাকা, আর গলদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়।'

স্থানীয় বিক্রেতা শহিদুল শেখ বলেন, 'এখানকার মাছের মান ভালো, তাই দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।'

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, 'নিষেধাজ্ঞার সময় ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাগেরহাটে নিবন্ধিত ৯ হাজার ৮৫৯ জন জেলে ২৫ কেজি করে চাল পেয়েছেন।'

তিনি বলেন, 'এখন স্থানীয় ঘেরচাষিরাই বাজারে সরবরাহের প্রধান উৎস। এ কারণে তাদের লাভও বাড়ছে। কিন্তু সমুদ্রগামী জেলেরা এখনও কর্মহীন।'

Comments

The Daily Star  | English
Women in July uprising

The unfinished revolution for women's political rights

Post-uprising women were expected to play central role in policymaking, which did not happen.

7h ago