পর্যটকরা হাওরে ভ্রমণে এসে পরিবেশের ক্ষতি করছেন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

হাওরে পর্যটকরা ভ্রমণে এসে পরিবেশের ক্ষতি করছেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

পর্যটকরা স্থানীয় মানুষের কষ্ট বোঝেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম মহাসড়ক নির্মাণে যথেষ্ট ব্রিজ ও কালভার্ট না থাকায় পানিপ্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। আরও ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা গেলে মাছের চলাচল সহজ হবে এবং সবাই উপকৃত হবেন।'

উপদেষ্টা আজ রোববার সকালে মিঠামইন উপজেলা পরিষদ হলরুমে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার নিবন্ধিত মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, হাওর বাংলাদেশের কৃষি ও মৎস্য সম্পদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মোট বোরো ধান উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক হাওরাঞ্চল থেকে আসে। কিন্তু কৃষিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহারের ফলে হাওরের মৎস্য সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

তিনি বলেন, 'হাওরাঞ্চলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ রক্ষায় কৃষিখাতে বালাইনাশক ব্যবহার সীমিত করতে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কীভাবে কৃষিতে বালাইনাশক কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং একই সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ রক্ষা করা যায়, সে বিষয়ে কাজ চলছে।'

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, 'বাঁধ নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে হাওরে প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটছে। জমিতে পলির পরিবর্তে এখন বালি জমছে, যা প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছে। আবার সব প্রাকৃতিক পরিবর্তন প্রকৃতির সৃষ্টি নয়, অনেক ক্ষেত্রে এ ধরণের পরিবর্তনের জন্য মানুষ দায়ী।'

অবৈধ জাল ব্যবহারকারীদের সমালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, 'কিছু দুষ্টু মানুষ অবৈধ জাল আর ইলেকট্রনিক শক ব্যবহার করে মাছ ধরছে, যা ক্রমেই উদ্বেগজনক আকার ধারণ করছে।'

ইজারা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কিশোরগঞ্জ হাওরে বর্তমানে ৪৫টি ইজারামুক্ত জলাশয় ও ৩১২টি ইজারাকৃত জলাশয় রয়েছে। সরকার চায় কেবল প্রকৃত মৎস্যজীবীরাই যেন ইজারা পান। সে লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ে কাজ করা হচ্ছে।'

পরে উপদেষ্টা গাবতলী ব্রিজ সংলগ্ন ইটনা হাওরে ৫৫০ কেজি পোনামাছ অবমুক্ত করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

1h ago