আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলো কক্সবাজার, চলবে কলকাতা রুটে ফ্লাইট
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। আনুষ্ঠানিক এ ঘোষণা বাংলাদেশের উড়োজাহাজ চলাচল ও পর্যটন উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর এই বিমানবন্দরটি বাংলাদেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত হলো।
বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে ১৯৮৪ সালের বেসামরিক বিমান চলাচল বিধিমালার ১৬ নম্বর বিধির উপ-বিধি (১) অনুসারে আনুষ্ঠানিকভাবে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
জনস্বার্থে এই আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
বিমান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এই মাসের শেষের দিকে সীমিত আকারে কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু করবেন।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ শেষ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে বিমানবন্দরটির পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হবে।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম বলেন, জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা কক্সবাজার-কলকাতা-কক্সবাজার রুটে ঢাকা হয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করবে, যা আঞ্চলিক যোগাযোগ এবং পর্যটন প্রচারে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
প্রাথমিকভাবে বিমান সপ্তাহে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা জেলাটিকে একটি বৈশ্বিক পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।
২০২১ সালে চালু হওয়া এই উন্নীতকরণ প্রকল্পের লক্ষ্য কক্সবাজারকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক গেটওয়েতে রূপান্তরিত করা।
একটি পৃথক রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প, যা বিদ্যমান ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট রানওয়েকে ১০ হাজার ৭০০ ফুট পর্যন্ত বিস্তৃত করে প্রশস্ত উড়োজাহাজ স্থাপনের জন্য সম্প্রসারিত করছে, ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে এবং ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।


Comments