জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু, মঞ্চে প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা রয়েছেন। যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা।
আজ শুক্রবার বিকেল ৪টা ৩২মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।
বিকেল ৪টা ৩৭মিনিটে জাতীয় সংগীতে শুরু হয় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।

মঞ্চে নেতাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অংশ দিচ্ছেন না জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিরা। এছাড়া সিপিবি-বাসদসহ চারটি বামপন্থী দল এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছে না।
এদিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিকেলে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, এপিবিএন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের প্রবেশপথে অবস্থান নিতে দেখা যায়। কয়েক ঘণ্টা স্থবির থাকার পর সংসদ ভবন এলাকার আশপাশে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে। তবে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে যান চলাচল এখনো সীমিত রয়েছে।
এর আগে 'জুলাই যোদ্ধা' পরিচয় দেওয়া বিক্ষোভকারীদের জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এদিন সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। বিকেলে সেখানে জুলাই সনদ সই হওয়ার কথা রয়েছে।
দুপুর সোয়া ১টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করতে শুরু করে। পাশাপাশি তাদের সরাতে টিয়ারশেল ব্যবহার করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের ফটোসাংবাদিক জানান, এ ঘটনায় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
দুপুরে দক্ষিণ গেটের সামনে এমপি হোস্টেলের কাছে অনুষ্ঠানের আসবাবপত্রে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে এমপি হোস্টেলের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ আবারও কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
Comments