বিদেশে থাকা বাংলাদেশি ও দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের দুর্নীতির তদন্ত করতে পারবে দুদক

দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশি এবং দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করতে পারবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুর্নীতি দমন কমিশন ২০২৫ অধ্যাদেশের খসড়ায় এমন বিধান রাখা হয়েছে। খসড়াটি আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, 'তিনটি আইন নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। এর একটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন। এখন থেকে বাংলাদেশে অবস্থানকালে, কেউ বাংলাদেশি বা বিদেশি যেই হোক না কেন, যদি অন্য দেশে কোনো দুর্নীতি করে, তার তদন্ত ও বিচার দুদক করতে পারবে।'
অধ্যাদেশের খসড়ায় 'জ্ঞাত আয়ের' সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, জ্ঞাত আয় মানে বৈধ আয়, অবৈধ আয় নয়। এসব বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, 'যে এলাকায় দুদকের অফিস থাকবে, সেখানেই বিশেষ আদালত গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। দুদকের চেয়ারম্যান বা প্রধান নির্বাচনের জন্য সাত সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একজন বিচারক।'
'তারা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করবেন, আবার নিজেদের বিবেচনায়ও প্রার্থী বাছাই করতে পারবেন। সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে যাদের কমিশনার হওয়ার আগ্রহ আছে, তাদের,' বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল জানান, নতুন অধ্যাদেশে দুদকের কার্যাবলি ও ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে—এজাহার দায়ের, তদন্ত, অনুসন্ধান ইত্যাদিতে অধিক ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, 'আজকের আলোচনায় বলা হয়েছে, দুদকের অভ্যন্তরীণ জবাবদিহির প্রয়োজন আছে। দুদকের কাজ দুর্নীতি দমন করা, অথচ দুদকের অনেকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।'
'আমরা বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি এবং বলেছি, আজ আমরা এটি নীতিগতভাবে অনুমোদন করলাম, কিন্তু আইনটি চূড়ান্ত করার আগে দুদকের অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতার মেকানিজমকে আরও শক্তিশালী করতে হবে,' যোগ করেন তিনি।
Comments