লক্ষ্মীপুরে টকশোর শুটিংয়ে ইসলামী আন্দোলন-বিএনপি কর্মীদের হাতাহাতি
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নির্বাচনী টকশোর শুটিংয়ে ইসলামী আন্দোলন ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রামগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে স্টার নিউজ টেলিভিশনের নির্বাচনী টকশো শুটিংয়ে এ ঘটনা ঘটে। রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্টার নিউজের সাংবাদিক ফারাবি হাফিজের উপস্থাপনায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী বিলুপ্ত বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, রামগঞ্জ উপজেলা জামায়াত আমির ও প্রার্থী নাজমুল হাসান পাটওয়ারী এবং ইসলামী আন্দোলনের জেলা কমিটির সহসভাপতি ও দলীয় প্রার্থী জাকির হোসেন পাটওয়ারীসহ ২০ জন প্রার্থীকে নিয়ে রামগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে এই টকশো আয়োজন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও উপস্থিত রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা জানান, ঘটনার সময় এক শিক্ষার্থী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী জাকির পাটওয়ারীকে বিগত দিনে জাতীয় পার্টির রাজনীতি সঙ্গে জড়িত থাকা নিয়ে প্রশ্ন করেন। এ সময় জাকির পাটওয়ারী জানান, যদি তার নামে জাতীয় পার্টির সদস্য ফরম থাকে, তাহলে তিনি আর রাজনীতি করবেন না।
এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের (চরমোনাই) এক সমর্থক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্যে করে জুতা দেখান।
এ নিয়ে তখন সেখানে উত্তেজনা শুরু হয়। এরপর সেখানে উপস্থিত বিএনপির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা, হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে চেয়ার ছোড়াছুড়িও হয়।
স্টার নিউজের লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি আন নাজমুস সাকিব ডেইলি স্টারকে বলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে বিগত দিনে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এই প্রশ্নকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি সমাধান করা হয়। বাহিরে কিছু হয়েছে কি না, তা জানা নেই।
ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব শেখ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। প্রশ্নটি পরিকল্পিত ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে যে ঘটনা ঘটেছে, তাও কাম্য নয়। এখানে আমাদের দলের কেউ যদি দায়ী থাকেন, আমরা সে ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। কিন্তু পরে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও আমাদের কর্মীদের গায়ে হাত তোলা হবে কেন? পেশিশক্তি দেখানোর বহিঃপ্রকাশ নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
রামগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, একটি ছেলে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে প্রশ্ন করায় চরমোনাইয়ের এক সমর্থক ক্ষিপ্ত হয়ে জুতা প্রদর্শন করেন। পরে আমরা তাকে শান্ত করার জন্য যাই। এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে কেউই কারও ওপর হামলা করেনি। আহত বা অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। যে ছেলে প্রশ্ন করেছে, তাকেও আমরা কেউ চিনি না।
ওসি ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ২০ জন প্রার্থীকে নিয়ে রামগঞ্জ কলেজ মাঠে নির্বাচনী টকশো আয়োজনে একটি প্রশ্নকে ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরে তা সমাধানও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় কেউ আহত হননি। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকায় বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ হয়নি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


Comments