মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এ কে খন্দকার মারা গেছেন

এ কে খন্দকার

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকার (এ কে খন্দকার) মারা গেছেন। 

তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ও বীর-উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

আজ শনিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।  

মুক্তিযুদ্ধে অপারেশন কিলোফ্লাইটের সদস্য ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীর প্রতীক দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।  

গত কয়েক বছর ধরেই গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছিলেন এ কে খন্দকার। শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হলে  গত ৭ ডিসেম্বর তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। 

আগামীকাল রোববার বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাসের বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বাশারে তার জানাজা ও রাষ্ট্রীয় সম্মাননা শেষে তাকে সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। 

১৯৭১ সালের মার্চ মাসে গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে ঢাকা সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন এ কে খন্দকার। যুদ্ধের শুরুতেই তারা যুদ্ধে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন।

একাত্তরের ১৫ মে উইং কমান্ডার খাদেমুল বাশার ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রেজার সঙ্গে সপরিবারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ত্রিপুরার আগরতলায় পৌঁছান তিনি। 

১৬ মে মুক্তিবাহিনীর প্রধান কর্নেল আতাউল গণি ওসমানী ও প্রবাসী সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন এ কে খন্দকার। 

এ সময় তাকে মুক্তিবাহিনীর উপ-প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনের ক্ষেত্রেও নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখেন তিনি। 

আগস্ট মাসের শেষের দিকে বিমানবাহিনী গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হলে এ কে খন্দকারকে অপারেশন কিলোফ্লাইটের সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

মুক্তিযুদ্ধে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর প্রধান কর্নেল ওসমানীর অনুপস্থিতিতে মুক্তিবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এ কে খন্দকার। 

এ কে  খন্দকারের জন্ম ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি রংপুর শহরে। তার পৈত্রিক বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলায়। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। 

১৯৭২ সালে এয়ার ভাইস মার্শাল পদোন্নতি পেয়ে বিমান বাহিনীর প্রধান হন এ কে খন্দকার। ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

২০০৯ সালে পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পান এ কে খন্দকার। ভারত ও অস্ট্রেলিয়াতে রাষ্ট্রদূত হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia laid to eternal rest

Buried with state honours beside her husband Ziaur Rahman

11h ago