অবশেষে খনন হতে যাচ্ছে রাঙ্গামাটির ৩ নদী

শলক নদ। ফাইল ছবি

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে খননের মুখ দেখতে যাচ্ছে রাঙ্গামাটির তিনটি নদী। এই তিন নদী হলো— কাচালং, রাইক্ষ্যং ও শলক।

গতকাল মঙ্গলবার একনেক সভায় 'রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কর্ণফুলী এবং সংযুক্ত নদীসমূহের (কাচালং, রাইক্ষ্যং ও শলক) টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা' প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এ প্রকল্পের অধীনেই নদীগুলোর নৌপথ খনন করা হবে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটির প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

ষাটের দশকের শুরুতে কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির ছয় দশক পর প্রথমবারের মতো হ্রদকেন্দ্রিক এই তিনটি নদীর নৌপথ খনন হতে যাচ্ছে। নদী খননের ফলে নদীকেন্দ্রিক দুর্ভোগ কমবে বলে আশা করছেন জেলার বাসিন্দারা।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য বলছে, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নেওয়া প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। প্রকল্পে নদী খননের পাশাপাশি নদীপাড়ের ভাঙনরোধ, নদীর পাড় রক্ষা, খাল খনন ও বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া প্রকল্পটির অধীনে প্রথমবারের মতো কাপ্তাই হ্রদের পরিবেশগত অবস্থা জানতে জরিপকাজ চালানো হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, কাচালং নদীর ৪৬ দশমিক ৯ কিলোমিটার, রাইক্ষ্যং নদীর ১০ দশমিক ৫ কিলোমিটার ও শলক নদের ৮ দশমিক ৫ কিলোমিটারসহ মোট ৬৫ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে। এ ছাড়া জেলার ১০ উপজেলার ১০টি খালের মোট ২৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার নৌ-পথ খননের পাশাপাশি ৪০টি স্থানে মোট ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঁধ নির্মাণ করা হবে। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হতে যাওয়া প্রকল্পটির মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০৩০ সালের জুন মাস পর্যন্ত।

পানি উন্নয়ন বোর্ড রাঙ্গামাটি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির পর থেকে এসব নদীপথের খনন হয়নি। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে নৌপথে যাতায়াতে দুর্ভোগ কমবে।

রাঙ্গামাটি জেলা লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মঈনুদ্দিন সেলিম বলেন, কাপ্তাই হ্রদ কেন্দ্রিক নৌপথ খনন আমাদের জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। শুষ্ক মৌসুমে বাঘাইছড়ি উপজেলায় যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়। আশা করি শিগগিরই যেন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
gold price rises in Bangladesh

Gold shines through 2025 amid price volatility

If there were a “metal of the year” award, gold would be a strong contender, maintaining an exceptional run even on the final trading day of 2025..Businesspeople said the retail gold market in Bangladesh has remained unstable over the past few months, driven by fluctuating global prices, s

8m ago