ঘন কুয়াশায় দিকভ্রান্ত বরযাত্রীর নৌকা, রাতভর আটকে থাকল মাঝনদীতে
বগুড়া থেকে জামালপুরে ফেরার পথে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে যমুনা নদীর মাঝখানে আটকা পড়েছে বরযাত্রীবাহী একটি নৌকা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নৌকাটি মাঝনদীতে অবস্থান করছে। নৌকায় নারী ও শিশুসহ মোট ৪৭ জন যাত্রী রয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কালিতলা ঘাট থেকে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার উদ্দেশে নৌকাটি ছেড়ে যায়। যাত্রার কিছু সময় পরই ঘন কুয়াশায় দিকভ্রান্ত হয়ে মাঝনদীতে নোঙর করতে বাধ্য হন মাঝিরা।
নৌকায় আটকা পড়া বরের আত্মীয় সুয়াইব ইসলাম জিয়ান জানান, যাত্রীদের মধ্যে অন্তত ১৭ জন নারী ও ৯ জন শিশু রয়েছে। শিশুদের মধ্যে চারজনের বয়স মাত্র এক থেকে দেড় বছর। তীব্র শীত, বাতাস ও কুয়াশার কারণে যাত্রীরা—বিশেষ করে শিশুরা চরম কষ্টে আছে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধারকারী দল পৌঁছাতে পারেনি।
যাত্রী রাশেদুল ইসলাম বাবু জানান, গতকাল সকালে তারা বরযাত্রী হিসেবে বগুড়া শহরের সাবগ্রামে নিলয় হাসান সানির (২০) বিয়েতে যান। আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তারা নৌকাযোগে মাদারগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন। কালিতলা ঘাট ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই ঘন কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে যায়। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় মাঝনদীতে আটকা পড়েন তারা।
নৌকার মাঝি আবুল কাশেম মোবাইল ফোনে জানান, তারা সারিয়াকান্দি ও মাদারগঞ্জের জামথল ঘাটের মাঝামাঝি কোনো স্থানে অবস্থান করছেন। কুয়াশা এতটাই ঘন যে নদীর দিক নির্ণয় করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকের আহমেদ আজ সকালে বলেন, ঘটনাস্থলটি সারিয়াকান্দি থানার আওতাভুক্ত। বিষয়টি নিয়ে সারিয়াকান্দি থানা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে কুয়াশা এত ঘন যে তিন–চার ফুট দূরের কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ফলে উদ্ধারকাজে চরম বেগ পেতে হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, রাতে যাত্রীদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হলেও বর্তমানে তাদের নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।


Comments