‘বিএনপি আন্দোলন করবে, আ. লীগ বসে বসে আঙ্গুল চুষবে তা হবে না’

qader_0_7_0.jpg
ওবায়দুল কাদের। স্টার ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজপথ কোনো রাজনৈতিক দলের পৈতৃক সম্পত্তি নয়।

তিনি বলেন, 'রাজপথ বিএনপির পৈতৃক সম্পত্তি নয়, রাজপথ জনগণের। এই রাজপথ ঢাকাবাসীর। রাজপথ কোনো দলকে ইজারা দেওয়া হয়নি।'

ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর লালবাগস্থ নবাবগঞ্জ পার্কে আয়োজিত লালবাগ থানা এবং ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এ কথা বলেন।

'রাজপথ এখন থেকে বিএনপির দখলে থাকবে' বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আন্দোলন করতে চাইলে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে আন্দোলন করুন। আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করবেন না। রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। আপনারা ফাঁকা মাঠে আন্দোলন করবেন, আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বসে বসে আঙ্গুল চুষবে তা হবে না।'

তিনি বলেন, 'বিএনপি আন্দোলন করার জন্য কিছু লোক নামিয়েছে। কারা কত দিন থাকে আমরাও দেখবো। গতবার নির্বাচনের সময়ে ২০ দলের অবস্থা ছিল জগাখিচুড়ি। এখন তাদের অবস্থা আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন সাড়।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'ষড়যন্ত্রকারীরা জানে না শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতো পিছু হটতে জানেন না, ভয় পান না। যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকেন বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। এরা জানে না তিনি হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা হেরে যাবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হেরে যাবে।'

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন তাদের শেখ হাসিনা ছাড় দেবেন না। শ্লোগান দিয়ে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, শক্তি প্রদর্শন করে নেতা হতে পারবেন না। যে যার এলাকায় জনপ্রিয় তিনিই নেতা হবেন।'

লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক ও কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu polls: Security measures tightened at Dhaka University

Voting for the long-awaited Ducsu and hall union elections began this morning after a six-year pause

1h ago