‘বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে’ ঈশ্বরদী আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

সংঘর্ষ : ‘বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে’ ঈশ্বরদী আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

পাবনার ঈশ্বরদীতে 'বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে' স্থানীয় আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিনটু ও ঈশ্বরদীর যুবলীগ নেতা মো. অবুঝের সমর্থকদের মধ্যে গতকাল শনিবার রাতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় 'গুলি' করা হয় বলে এক পক্ষ অভিযোগ করেছে।

আহতদের মধ্যে স্থানীয় যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মী মাসুম হোসেন (৩৫), সম্রাট হোসেন (৩৫), মিরাজ (৩০) ও সুইটকে (৩২) ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় মাসুমকে রাজশাহী পাঠানো হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় পদ্মা নদীর বালুর ব্যবসা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান পিনটু ও যুবলীগ নেতা অবুঝের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে দফায় দফায় সমঝোতার চেষ্টাও হয়েছে।'

'গতকাল সন্ধ্যার পর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় ২ গ্রুপের লোকজন অবস্থান নেন,' উল্লেখ করে তিনি জানান, সে সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে কয়েকজন আহত হন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।'

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা করতে আসেনি বলেও জানান ওসি।

পাকশী ইউপি চেয়ারম্যান পিনটু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিয়ম মেনে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় সোয়া লাখ ঘনফুট খননকৃত বালু কিনে নিই। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকা থেকে বালু বিক্রি করতে গেলে প্রতিপক্ষ গ্রুপ চাঁদা চায়। এতে বিরোধের সৃষ্টি হয়।'

গতকাল তার লোকজন বালুর খাদে গেলে প্রতিপক্ষ অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন পিনটু আরও বলেন, 'আমাদের কর্মী মাসুম গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে রাজশাহী পাঠানো হয়েছে।'

অবুঝের মোবাইল ফোনে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

3h ago