পাংশায় বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাজবাড়ীর পাংশায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মিছিলে ককটেল হামলার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ ১৩ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাতে আকমল হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তি উপজেলা বিএনপির সভাপতি, পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিএনপির ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।

পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আকমল হোসেন পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরঝিকড়ি গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় কৃষক আকমল যুবলীগের কর্মী।

মামলার প্রধান আসামি চাঁদ আলী খান (৫৫) পাংশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্য আসামিরা হলেন বিধান কুমার বিশ্বাস, নাসির উদ্দিন, রোকন খান, সেলিম সরদার, সবুজ সরদার, রইচ উদ্দিন খান, লিয়াকত আলী খান, শাহিদুল, আরিফ গাজী, পেনু মেম্বার, ফজলুল রহমান ও জিলাল।

তাদের মধ্যে নাসির উদ্দিন পাংশা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, রইচ উদ্দিন খান পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর, লিয়াকত আলী বাহাদুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান। অন্য আসামিরা বিএনপির নেতাকর্মী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সমসাময়িক ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে মিছিল বের করা হয়। পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে বের হওয়া মিছিলটি নারায়ণপুর দ্বীপ এগ্রোফুডের সামনে পৌঁছালে মাগুরাডাঙ্গী কলেজের দিক থেকে আসামিরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এতে মামলার বাদীর পাশাপাশি আরেক কর্মী রাজিব (২৬) আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ককটেলের অংশবিশেষ উদ্ধার করে।

জানতে চাইলে মামলার প্রধান আসামি চাঁদ আলী খান বলেন, 'গতকাল আমরা কেউ অফিসেও বসিনি। ঘটনার সময় আমি পাংশা শহরের দত্ত মার্কেটে একটি দর্জির দোকানে ছিলাম। তাছাড়া আপাতত আমাদের কোনো কর্মসূচিও নেই। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগে মামলা হয়েছে।'

মামলার বাদী আকমল হোসেন বলেন, 'আমরা মিছিলে ৭০০ থেকে ৮০০ জন ছিলাম। মিছিলের সামনে এসে হামলা করা হয়। এতে পুরো এলাকা ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আমি হাতে আঘাত পেয়েছি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।'

পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, 'আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Gunfight

Local BNP leader shot dead in Dhaka’s Badda

When Kamrul was sitting on a chair on the roadside and talking with 2-3 people, two assailants on foot came from behind and shot him before fleeing the scene

4h ago