‘বিদ্যুৎ সেক্টরে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাশুল দিতে হচ্ছে জনগণকে’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ছবি

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয় বলেই জনগণের চরম দুর্দিনে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত গণবিরোধী এবং অবিবেচনাপ্রসূত।'

প্রতি মাসে দাম সমন্বয়ের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'প্রতি মাসে দাম সমন্বয়ের নামে প্রকারান্তরে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হবে, যা জনগণের সঙ্গে খুচরা চালাকি মাত্র।'

বিদ্যুতের মূল্য কমানোর দাবিতে আগামী ১৬ জানুয়ারি ঢাকাসহ সব উপজেলায় সমাবেশ-মিছিল কর্মসূচিতে জনসাধারণসহ নেতাকর্মীদের প্রতিবাদ জানানোর আহ্বানও জানান তিনি।

গতকাল সরকার এক প্রজ্ঞাপন জারি করে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে, যা জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ সব দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে যখন নাভিশ্বাস উঠেছে, জনগণের জীবনযাত্রায় ব্যয় যখন লাগামহীনভাবে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যখন মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছে, কর্মসংস্থান নেই, তখন সরকারের বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।'

'মাত্র ২ মাস আগে পাইকারি পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির পর এবার খুচরা তথা গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষি সেচে, কল-কারখানায় উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার ব্যয় এবং প্রতিটি জিনিসের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে', যোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, 'বিদ্যুৎ সেক্টরে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাশুল দিতে হচ্ছে জনগণকে। কুইক রেন্টালে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসিয়ে রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীনদের মদদপুষ্ট মালিকদের ক্যাপাসিটি চার্জের নামে জনগণের টাকায় লাভবান করা হচ্ছে। দুর্নীতি, অপচয় ও অব্যবস্থাপনার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

4h ago