জনগণের মন জয় করেই আমরা ভোট পাচ্ছি: শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিএনপির ছেড়ে দেওয়া সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'জনগণের মন জয় করেই আমরা ভোট পাচ্ছি।'

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ এর নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে সকাল ১১টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, '২০১৮ সালে নির্বাচন, আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম যে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে আমি মনে করি, আমাদের যে প্রতিশ্রুতি আমরা একে একে তা রক্ষা করি। ২০০৮-এর নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি ছিল ২০২১ এর মধ্যে রূপকল্প ২১ বাস্তবায়ন করবো। সেটা বাস্তবায়ন করেছি আর ২০১৮-এর নির্বাচনী ইশতেহার সেটা আজকে আমরা বাস্তবায়ন করেছি। ওই ইশতেহারে ছিল ঢাকা শহরকে যানজটমুক্ত করার জন্য আমরা মেট্রোরেল নির্মাণ করবো। আওয়ামী লীগ কথা দিলে কথা রাখে, আমরা সেই কথা রেখেছি।'

আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে আসে, দেশের মানুষের উন্নতি হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ সারা দেশে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। সারা দেশে ১০০ সেতু, ১০০ রাস্তা নির্মাণ; এটা বোধ হয় কখনো কেউ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার আছে বলেই কিন্তু এটা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ ২০১৪-তে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে, ২০০৮-এ ভোট দিয়েছে। ২০০৮-এর নির্বাচনটা যদি ধরেন, সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল কিন্তু কয়টা সিট পেয়েছিল? ৩০০ সিটের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট অধিকাংশ সিট পায়। বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ২৯টি সিট, আর একটি পরে উপনির্বাচনে এসেছিল। মাত্র ৩০টি সিট ২০০৮-এর নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট পেয়েছিল।'

'আমরা যে এত বছর কাজ করলাম, মানুষের উপকার করলাম, যার ফলে মানুষ আমাদেরকে ভোট দিচ্ছে। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস আমরা পাচ্ছি। আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে জনগণের মন জয় করেই আমরা ভোট পাচ্ছি। বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ যে নির্বাচন (বিএনপির ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচন) হয়ে গেল সেখানে নৌকা মার্কায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ প্রার্থী ছিল আর বগুড়ায় ১ প্রার্থী। ঠাকুরগাঁওয়ে দিয়েছিলাম মেনন সাহেবকে, সেখানে জাতীয় পার্টি জিতেছে। আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না। বগুড়ার কাহালু নন্দীগ্রামেও আমরা জাসদকে দিয়েছিলাম। জাসদও সেখানে জয়লাভ করেছে আর সদরে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে। নৌকা আজকে বগুড়ায় জয়লাভ করেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জেও জয়লাভ করেছে,' বলেন শেখ হাসিনা।

দেশবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, 'আপনাদের সাহস সহযোগিতায় পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। এই পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র ছিল। আমাদের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল। আমরা জনগণের সেবা করতে এসেছি। জনগণের সেবক, জনগণের ভাগ্য তৈরি করতে এসেছি। জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আসিনি। আমরা জনগণকে দিতে এসেছি। কাজেই এখানে দুর্নীতির প্রশ্ন ওঠে না।'

'জাতির পিতা এ দেশের মানুষের জন্য সারা জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে, বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছে। সেই স্বাধীন বাংলাদেশকে উন্নত করবো, এখানে দুর্নীতি কীসের! বাংলাদেশের মানুষকে কতটুকু দিতে পারি সেটাই আমাদের বিবেচ্য বিষয়। কাজেই তাদের এই অভিযোগ আমরা গ্রহণ করিনি, চ্যালেঞ্জ করেছিলাম এবং বলেছিলাম, নিজের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবো সেটা আমরা আজকে করে বিশ্বকে দেখিয়েছি বাংলাদেশ পারে,' বলেন প্রধানমন্ত্রী।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'আজকে যতই আন্দোলন-সংগ্রাম করুক, যতক্ষণ জনগণ সঙ্গে থাকবে জনগণের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাব। এখানে কেউ কিছু করতে পারবে না। এ বিশ্বাস আপনারা রাখতে পারেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

3h ago