খুলনায় সমাবেশে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে মারধরের অভিযোগ

হামলার ঘটনার পর ভ্যানযোগে যশোরের উদ্দেশে রওনা দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে তারা খুলনায় যান। ছবি: স্টার

খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে বাস থেকে নামিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ রয়েছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে আসা নেতাকর্মীদের বাস থেকে নামিয়ে মারধর ও বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি শুরু করেন।

মারধরে আহত আব্দুস শুকুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা সকালে দৌলতপুর থেকে ১২টি বাস ও ১০টি মাইক্রোবাসে পা্রয় ৮০০ জন খুলনায় বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে রওনা দেই। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকায় পৌঁছালে বাসের সামনে ব্যারিকেড দেয় কয়েকজন। তারা বাস থেকে নামিয়ে আমাদের মারধর করতে থাকেন। তারা সংখ্যায় ছিলেন ৫০ জনের বেশি। তারা আমাদের বাস ও মাইক্রোবাসগুলোও ভাঙচুর করেছে, জামা-কাপড়ও ছিঁড়ে ফেলেছে।'

বাসগুলো আটককে রাখা হয়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, 'হামলার পর প্রাণভয়ে অনেকে গ্রামের ভেতরে চলে গেছে। আহত কয়েকজনকে স্থানীয় জননী ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।'

দৌলতপুরের সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন, '৫০ জনের একটি দল আমাদের বাসের সামনে ব্যারিকেড দিয়েছিল। তাদের হাতে চাপাতি, লাঠি, দা ছিল।'

আব্দুস শুকুর জানান, হামলার ঘটনার পর তারা হেঁটে ও ভ্যানে যশোর এসেছেন এবং এরপর সেখান থেকে খুলনার সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। হামলায় আহত অনেকে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং বেশিরভাগই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

পথে আরও অন্তত ৩ জায়গায় তারা বাধার মুখে পড়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

বারবাজার পুলিশ ক্যাম্পের এসআই হায়াত মাহমুদ বলেন, 'বারবাজার বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের মাঝে ঝামেলা হওয়ার খবর পেয়েছি। কিন্তু তারা বিএনপি কর্মী কি না, সেটা জানি না।'

এ ব্যাপারে জানতে কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্যার মুঠোফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Voting in Ducsu election starts

Students started casting their votes at 8:00am across polling centres set up in residential halls amid tight security. The balloting will continue until 4:00pm.

35m ago