অপব্যবহার রোধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন: ওবায়দুল কাদের

ডাঃ ইউনূসের ৬ মাসের জেল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

ঢালাওভাবে আইনের অপব্যবহার রোধে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিকেলে টিএসসিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হচ্ছে। ক্যাবিনেটে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। নতুন প্রস্তাবনা এখনো আসেনি। আমার সিদ্ধান্ত সঠিক কি বেঠিক, এটা আমি জনগণের কাছে শুনব। সেখানে যদি কোনো কারেকশনের দরকার হয়, সেটা আমি করব। এটাই জনগণের সরকার।'

তিনি বলেন, 'সাইবার চার্জ যাদের বিরুদ্ধে আছে, তাদের বিচার কি বাংলাদেশে হবে না? তাদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আসবে না? ঢালাওভাবে এ আইনের অপপ্রয়োগ যেন না হয়, সেজন্য নতুন করে রিকাস্ট করা হচ্ছে।'

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মানবাধিকারের ছবক দেয়া দেশেই গণতন্ত্র নেই, খুন বাড়ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা মানবাধিকারের ছবক দেয় তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কেন বন্ধ করতে পারছে না?

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব রাজনীতিতে আজ যারা মোড়ল, মাতব্বর সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার নেই। সেখানে গণতন্ত্র নেই এবং খুনের সংখ্যা বাড়ছেই। তারা আমাদের গণতন্ত্রের ছবক দেয় কিন্তু তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারে না। তারা ইসরায়েলকে থামায় না। এ সময় মানবাধিকার কোথায় থাকে?

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের ভারত সফর নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওরা আসে আমরা যাই, চীনের সাথেও সফর বিনিময় হয়েছে। এর আগে আমাদের এক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের নেতৃত্বে কানাডা গিয়েছে আমাদের প্রতিনিধি দল, এবার আবার আমাদের একটি প্রতিনিধি দল ভারতে গিয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে একটা নিয়ম আছে। করোনার কারণে আমাদের নিয়মটা দেরিতে পালন করছি। আমাদের পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধি দল গেল, আর ওদের চোখে মুখে সারারাত দুশ্চিন্তা ঘুম নেই। ভারতে প্রতিনিধি পাঠিয়ে আবার কী করছে! ভারত আমাদের বন্ধু। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। কোনো বন্ধু ক্ষমতায় বসাবে না, ক্ষমতায় বসাবে বাংলাদেশের জনগণ! আমরা জনগণের সাথে আছি, জনগণের ফরমায়েশে চলি।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh-US tariff talks underway in Washington

Based on progress made so far, Bangladesh hopes for a positive outcome

10h ago